বাড়িতে শিব পূজার নিয়ম অনুযায়ী মাটির দিয়ে তৈরী শিবপূজার প্রকরণ ও বিধি
বাড়িতে শিব পূজার নিয়ম:- আমরা হিন্দু সনাতনী দের কাছে বাবা মহাদেব হচ্ছেন সৃষ্টির পালন কর্তা, তাই আমরা শিব পূজা প্রতি বাড়িতে করে থাকি, অনেকে বলেন বাবা ভোলানাথ একটা বেল পাতাতেই তুষ্ট, তাই আমরা বাবার পুজো করে থাকি আমাদের ভক্তি দিয়ে, সে আমরা নিয়ম এবং পূজা বিধি জানি বা না জানি, কিন্তি বাবা মহাদেবের শুধু ভক্তি দিয়ে পুজো করলেইতো হবে না, পুজোর সঠিক পূজা বিধি ও জানতে হবে, তাই বাবা ভোলানাথকে তুষ্ট এবং সংসারের উন্নতি যাতে হয়, সেই জন্য শিব পূজার সঠিক নিয়ম জানা আমাদের অবশ্যই কর্তব্য,তাই শিব পূজার নিয়ম এর বিস্তারিত ধারণা দেবার জন্য এই আর্টিকেল টি আপনা দের জন্য নিয়ে এসছি।
বাড়িতে শিব পূজার নিয়ম অনুযায়ী মৃদাহরণ ও গঠন:-‘(নমঃ) হরায় নমঃ’ এই মন্ত্র বলে এক তোলা বা দুই তোলা মৃত্তিকা নিয়ে, ‘(নমঃ) মহেশ্বরায় নমঃ’ এই মন্ত্র বলে ডান হাতের বুড়ো আঙুলের (অঙ্গুষ্ঠ) সমান শিবলিঙ্গ গঠন করে, তাহার মাথার উপরে একটি ব্রজ (ক্ষুদ্র গোলাকৃতি ) মাটি দিয়ে স্থাপন করে, কাঁসার (তামা, কাঁসার, সোনা বা রৌপার) পাত্রের পিনাকটি উত্তর দিকে মুখ করে বিল্বপত্রের সোজা মসৃণ পিঠের মাঝখানের পাতার উপর বসাইবেন।
শিব পূজার আগে অনস্তর মৃত্তিকা বা শোধিত ভষ্ম কিংবা চন্দন দ্বারা, অভাবে জল দ্বারা কপালে অর্দ্ধচন্দ্রাকৃতি ত্রিপুণ্ড্র এবং রুদ্রাক্ষের মালা ধারণ করিয়া শিবপূজা করিতে বসিবে। যদি কোনও দ্রব্যের অভাব হয়, তাহা হলে জল দিয়ে ওই দ্রব্যের জায়গায় কাজ চলাতে পারেন। শিবলিঙ্গ গড়া না হলে জলেই পূজা করতে পারেন, তাতে আবাহন ও বিসর্জ্জন করতে হবে না।
এরপর অনন্তর ‘ওঁ আত্মতত্ত্বায় স্বাহা, ওঁ বিদ্যাতত্ত্বায় স্বাহা, ওঁ শিবতত্ত্বায় স্বাহা, এই “তিনটী মন্ত্র উচ্চারণ করে উত্তর দিকে মুখ করে আসনে বসে শিব পূজা করা শুরু করিবেন। এরপর আচমন, তৎপরে আসনশুদ্ধি ও পুষ্পশুদ্ধি, নারায়ণ অর্চ্চনা করিয়া পঞ্চোপ-চারে (পঞ্চদেবতা অথবা কেবল ) সূর্য্য ও গণেশের পূজা জলে করিবে।
প্রথমে আচমনের মন্ত্র।
ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ, ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং ॥
সদা পশ্যন্তি সুরয়ঃ দিবীব চক্ষুরাততম্ ॥
এরপর আসন শুদ্ধি মন্ত্র
অতঃপর সচন্দন একটা ফুল হাতে নিয়ে—
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ হ্রীং আধারশক্তি- কমলাসনায় নমঃ ।
এই মন্ত্র বলিয়া আসনের উপর ফুলটা নিক্ষেপ করে আসন স্পর্শ করিয়া–
আসনমন্ত্রস্ত্য ফেরুপৃষ্ঠঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কৰ্ম্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনিয়োগঃ
ওঁ পৃথ্বি ত্বয়া ঘৃতা লোকা দেবি ত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা।
ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরু চাসনম্ ॥
এই মন্ত্র পাঠ করিবে। পরে করযোড়ে (বামে) ও গুরুভ্যো নমঃ, ও পরম গুরুভ্যো নমঃ, ওঁ পরাপরগুরুভো! নমঃ, ওঁ পরমেষ্ঠিগুরুভ্যো নমঃ, (দক্ষিণে ) ওঁ গণেশায় নমঃ,(ঊর্দ্ধে,) ও ব্রহ্মণে নমঃ, ( অথঃ) ওঁ অনস্তায় নমঃ, (মধ্যে) ওঁ অনুকদেবতায়ৈ নমঃ বলিবেন।
পুষ্প শুদ্ধি মন্ত্র
পুষ্পপাত্রস্থিত পুষ্প সকলের উপর হাত রাখিয়া নিম্নলিখিত মন্ত্র পাঠ করিয়া পুষ্পগুদ্ধি করিবে।
ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে ॥
পুষ্পচয়াবকীর্ণে চ হ্ ফট্ স্বাহ!॥
এরপরে বিষ্ণু স্মরণ মন্ত্র।
পরে (নমঃ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্ব্বাবস্থাং গতোহপি বা
যঃ স্মবেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ)
এই বলিয়া বিষ্ণু স্মরণ করিবেন।
এরপরে সূর্য্য পূজা মন্ত্র।
যথা——
“এষ গন্ধঃ শ্রীসূর্য্যায় নমঃ।
এতৎ পুষ্পং শ্রীসূৰ্য্যায় নমঃ।
এষ ধূপঃ শ্রীসূৰ্য্যায় নমঃ।
এষ দীপঃ শ্ৰী সূৰ্য্যায় নমঃ।
এতৎ নৈবৈদ্যং শ্রীসূৰ্য্যায় নমঃ।
পরে অর্ঘ্য লইয়া,-( এহি সূর্য্য সহস্রাংশো তেজোরাশে জগৎপতে।
অনুকম্পয় মা’ ভক্তং গৃহাণার্ঘ্যৎ দিবাকর ম ১)”
ইদমর্ঘ্যং ঐশ্বর্য্যায় নমঃ ” (স্ত্রী ও শূদ্রে ” এষঃ অর্ঘ্যঃ”) বলিয়া দিবে ।
এরপরে গণেশেপূজা মন্ত্র।
পরে অর্ঘ্য লইয়া,
“এষ গন্ধঃ গণেশায় নমঃ।
এতৎ পুষ্পং গণেশায় নমঃ।
এষ ধূপঃ গণেশায় নমঃ।
এষ দীপঃ গণেশায় নমঃ।
এতৎ নৈবৈদ্যং গণেশায় নমঃ।
গণেশকেও পঞ্চোপচারে পূজা করিবে।
শিবের প্রতিষ্ঠা মন্ত্র
চন্দন মিশ্রিত আতপ চাল, দুৰ্ব্বা ও পুষ্প শিবলিঙ্গের মস্তকের উপর ধরিয়া এই মন্ত্র পাঠ করিবে। মন্ত্র, যথা—নমঃ শূলপাণে ইহ সুপ্রতিষ্ঠিতো ভব । এই মন্ত্র বলিয়া শিবের উপর ঐ আতপ চাল দুর্বা ও পুষ্প নিক্ষেপ করিবে। তৎপরে —“হরায় নমঃ”—বলিয়া শিবের মস্তকে একটু জল দিবেন।
এরপরে শিবের ধ্যান—
কূর্ম্মমুদ্রা দ্বারা বিল্বপত্র লইয়া—
ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং মহেশং রজতগিরিনিভং চারুচন্দ্রাবতংসং,
রত্নাকল্লোজ্জ্বলাঙ্গং পরশুমৃগবরাভীতিহস্তং প্রসন্নং।
পদ্মাসীনং সমন্তাৎ স্ততমমরগণৈর্ব্যাঘ্রকৃত্তিং বসানং,
বিশ্বাদ্যং বিশ্ববীজং নিখিলভয়হরং পঞ্চবক্ত্রং ত্রিনেএং
এইরূপ ধ্যান করিয়া নিজ মস্তকে ঐ বিল্বপত্র রাখিয়া মানস পূজা করিবেন ।
তৎপরে পুনর্ব্বার কুর্ম্মমুদ্রায় পুষ্প লইয়া ধ্যান করিয়া, হৃদয়স্থ দেবতা পুষ্প মধ্যে আবির্ভূত হাইয়া মৃন্ময় লিঙ্গে অবস্থিত হইলেন এই রূপ চিন্তা করিয়া শিবের মস্তকে ঐ পুষ্প দিয়া— মন্ত্ৰ, যথা— ১। ওঁ নমঃ পিণাক্ধ্ক্ ইহাগচ্ছ, ইহাগচ্ছ, ২। ইহ তিষ্ঠ, ইহ তিষ্ঠ, ৩। ইহ সন্নিধেহি, ৪। ইহ সন্নিরুধ্যস্ব, ৫। অত্রাধিষ্ঠানং কুরু, মম পূজাং গৃহাণ । এই পাঁচ মন্ত্রে আবাহণ্যাদি পঞ্চমুদ্রা পদর্শন করিয়া আবাহন করিবে, পরে স্থাং স্থীং স্থিরোভব যাবৎ পূজাং করোমাহং বলিয়া করযোড় করিবে ।
পঞ্চমুদ্রা পদর্শন যথা—১। চিৎভাবে অঞ্জলি করিয়া উভয় অঙ্গুষ্ঠ উভয় অনামিকার মূলে যোগ করিবেন। ২। ঐরূপ অঞ্জলিকে অধোমুখে করিবেন। ৩। অঙ্গুষ্ঠদ্বয় উচ্চ করিয়া উভয় মুষ্টি মুখোমুখি করিয়া যোগ করিবেন। ৪। ঐরূপ মুষ্টি দ্বয়ের মধ্যে অঙ্গুষ্ঠন্বয়কে প্রবেশ করাইবেন এবং ৫। ঐরূপ মুষ্টিদ্বয়কে চিৎ করিয়া ধরিবেন।
মহাদেব শিবের স্নান মন্ত্র—
তৎপরে “ইদং স্নানীয়োদকং পণ্ডপতয়ে নমঃ”
এই মন্ত্র বলিয়া শিবলিঙ্গের উপর জল দিয়া শিবকে তিনবার স্নান করাইবেন।
এবং ‘নমঃ বজায় ফট্’ এই মন্ত্র বলিয়া বজ্রটি নামাইয়া পিনেটের উপর রাখিবে।
তৎপরে শিবের আসল পূজা
তৎপরে পাদ্যাদি দ্বারা পূজা করিবেন। ‘এতৎ পাদ্যং ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ। ইদমর্ঘ্যং ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ। ইদমাচনীয়ং ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ। ইদং স্নানীয়জলং ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ । এষ গন্ধঃ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ । এতৎ পুষ্পং ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ । এতৎ সচন্দনবিল্বপত্রঃ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ (বিল্বপত্র অধোমুখ অর্থাৎ উপুড় করিয়া দিবে) এষ ধূপঃ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ! এষ দীপঃ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ। এতৎ সোপকরণ নৈবেদ্যং ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ। ইদং পার্নার্থোদকং ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ। ইদমাচমনীয়োদকং ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ। অতব চাল ( তাম্বুল )অভাবে জল দিবে প্রত্যেক দ্রব্যের অভাবে জল দিলেও চলে’ পরে গৌরীপিঠে (পিনাকের মূলে) ‘ওঁ গৌর্য্যে নমঃ’ এই মন্ত্রে পঞ্চোপচারে গৌরীর পূজা করিবেন।
শিবের অষ্টমূর্ত্তির পূজা।
শিবের পূর্ব্ব দিক্ হইতে আরম্ভ করিয়া অগ্নি-কোণ পর্যন্ত আট দিকে আট মূর্ত্তির (বিল্লপত্র দ্বারা) পূজা করিবেন
যথা—‘এতে গন্ধপুষ্পে’ ওঁ সৰ্ব্বায় ক্ষিতিমূৰ্ত্তয়ে নমঃ (পূর্ব্বে),
‘এতে গন্ধপুষ্পে’ ওঁ ভবায় জলমূৰ্ত্তয়ে নমঃ (ঈশানকোণে),
‘এতে গন্ধপুষ্পে’ ওঁ রুদ্রায় অগ্নিমূৰ্ত্তয়ে নমঃ (শক্তিলঙ্ঘন না করিয়া উত্তরে),
‘এতে গন্ধপুষ্পে’ ওঁ উগ্রায় বায়ুমূৰ্ত্তয়ে নমঃ (বায়ুকোণে),
‘এতে গন্ধপুষ্পে’ ওঁ ভীমায় আকাশমূৰ্ত্তয়ে নমঃ (পশ্চিমে),
‘এতে গন্ধপুষ্পে’ ওঁ পশুপতয়ে যজমানমূৰ্ত্তয়ে নমঃ (নৈর্ঝতে),
‘এতে গন্ধপুষ্পে’ ওঁ মহাদেবায় সোমমূৰ্ত্তয়ে নমঃ (দক্ষিণে),
‘এতে গন্ধপুষ্পে’ ওঁ ঈশানায় সূৰ্য্যমূৰ্ত্তয়ে নমঃ (অগ্নিকোণে)।
পুষ্পাভাবে ‘এতে গন্ধাক্ষতে’ বা এতদুদকং’।
পূজামাত্রেই এই নিয়ম জানিবেন। তৎপরে “ব্রাহ্মাদষ্ট্যমাতৃকাভ্যো নমঃ, বৃষভায় নমঃ” এবং “ইন্দ্রাদি দশদিক্পালেভ্যো নমঃ”—মন্ত্রে পূজা করিয়া
তৎপরে “ওঁ নমঃ শিবায়” এই মন্ত্র ১০ বা ১০৮ বার জপ করিয়া-
“——ওঁ গুহ্যাতি গুহ্যগোপ্তা ত্বং গৃহাণাস্মৎকৃতং জপং
সিদ্ধির্ভবতু মে দেব তৎপ্রসাদান্মহেশ্বরঃ”
এই মন্ত্রে কোশাস্থিত সামান্যার্ঘ্য বা জলগগুষ দেবতার দক্ষিণ হস্তে
( মনে মনে ) অর্পণ করিয়া জপ সমাপন করিবে।
তৎপরে দক্ষিণহস্তে অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জ্জনী দ্বারা দক্ষিণ গালে আঘাত করিয়া বম্ বম্ শব্দে মুখবাদ্য করিবেন।
তৎপরে “এষঃ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ” এই মন্ত্রে ৩ বার পুষ্পাঞ্জলি দিবে ।
শিব প্রণাম মন্ত্র
নমস্তুভ্যং বিরূপাক্ষ নমস্তে দিব্যচক্ষুষে ।
নমঃ পিনাকহস্তায় বজ্রহস্তায় বৈ নমঃ॥১॥
নমস্ত্রিশূলহস্তায় দণ্ড-পাশাসি-পাণয়ে ।
নমস্ত্রৈলোক্যনাথায় ভূতানাং পতয়ে নমঃ॥ ২॥
বাণেশ্বরায় নরকার্ণব-তারনায়,
জ্ঞানপ্রদায় করুণাময়-সাগরায় ॥৩ ॥
কর্পূর কুন্দ ধবলেন্দু জটাধরায়,
দারিদ্র্য দুঃখদহনায় নমঃ শিবায়॥ ৪॥
নমঃ শিবায় শান্তায় কারণজয়হেতবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতিঃ পরমেশ্বরম্ ॥ ৫ ॥
নমস্ত্যে ত্বাং মহাদেব লোকানাং গুরুমীশ্বরং।
পুংসামপূর্ণকামানাং কামপূরাঙ্ঘি পং তথা ॥ ৬ ॥
শিব ক্ষমা প্রার্থনা মন্ত্র
আবাহনং ন জানামি নৈব জানামি পূজনং।
বিসর্জ্জনং ন জানামি ক্ষমস্ব পরমেশ্বরঃ ॥
বিসর্জ্জন বাড়িতে শিব পূজার নিয়ম অনুযায়ী
সংহারমুদ্রার দ্বারা একটি নির্ম্মাল্য লইয়া ঘ্রাণান্তে “মহাদেব ক্ষমস্ব” বলিয়া বিসর্জ্জনপূর্ব্বক শিবের মাথায় একটু জল দিয়া শিবকে কাৎ করিয়া রাখিবেন। ঈশানকোণে ত্রিকোণ মণ্ডল করিয়া সংহারমুদ্রা দ্বারা পূজাধার হইতে একটি নির্ম্মাল্য লইয়া ঘ্রাণান্তে তেজোময় দেবতাকে শ্বাসপথ দ্বারা হৃৎপদ্মে পুনঃ স্থাপন করিলাম, এইরূপ চিন্তা করতঃ পূর্ব্বকৃত মণ্ডলে রাখিয়া শিবপূজা কৰ্ত্তব্য। ‘চণ্ডেশ্বরায় নমঃ’ বলিয়া নির্ম্মাল্য দ্বারা পূজা করিবেন। অনেকে নিত্য শিবপূজা করিয়া সন্তানাদির মঙ্গলার্থ পুনর্ব্বার শিবপূজা করিয়া থাকেন। পূজান্তে দেবতাকে নির্ম্মাল্য রাখিতে নাই। কি দিবা কি রাত্রি সকল সময়েই উত্তরমুখে শিবপূজা কৰ্ত্তব্য।
শিব পূজার ফর্দমালা (উপকরণ)
বাড়িতে শিব পূজার নিয়ম অনুযায়ী শিব পূজার উপকরণ:- ১) ঘটি ১ টি, ২)সিদ্ধি, ৩)আবাটা, ৪)হলদি বাটা, ৫)গঙ্গা জল, ৬)গঙ্গা মাটি, ৭)তিল, ৮)হরিতকী, ৯)শোলার মালা, ১০)ফুল,ধুতরা ফুল,ধুতরা ফল, আকন্দ ফুলের মালা, ১১) দূর্ব্বা, বিল্বপত্র, ১২)ধূপ, দীপ, ধূনা, ১৩)দুধ, দই, ঘী,ক্ষীর চিনি, মধু, ১৪)শিবের ধুতি, দূর্গা শাড়ী, ১৫)শিবের ধুতি, দূর্গা শাড়ী, ১৬)আসনাঙ্গুরীয়ক ২, ১৭)মধুপার্কের বাটী, ১৮)নৈবেদ্য,ফল, আতাব চাল।
অধাতিক উন্নতির জন্য আমাদের অন্য পোস্ট পড়ুন
১.সন্ধ্যা প্রদীপ দেওয়ার নিয়ম।
বাড়িতে শিব পূজার নিয়ম সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
Q:শিব ঠাকুরের পূজা করতে কি কি লাগে?
A:শিব পূজার ফর্দমালা:- ১) ঘটি ১ টি, ২)সিদ্ধি, ৩)আবাটা, ৪)হলদি বাটা, ৫)গঙ্গা জল, ৬)গঙ্গা মাটি, ৭)তিল, ৮)হরিতকী, ৯)শোলার মালা, ১০)ফুল,ধুতরা ফুল,ধুতরা ফল, আকন্দ ফুলের মালা, ১১) দূর্ব্বা, বিল্বপত্র, ১২)ধূপ, দীপ, ধূনা, ১৩)দুধ, দই, ঘী,ক্ষীর চিনি, মধু, ১৪)শিবের ধুতি, দূর্গা শাড়ী, ১৫)শিবের ধুতি, দূর্গা শাড়ী, ১৬)আসনাঙ্গুরীয়ক ২, ১৭)মধুপার্কের বাটী, ১৮)নৈবেদ্য,ফল, আতাব চাল।
Q:শিবের প্রিয় ফল কি?
A:বাবা মহাদেব শিবের প্রিয় ফল হলো ধুতরা ফল।
Q:শিবলিঙ্গে জল ঢেলে কোন মন্ত্র?
A:এই মন্ত্র বলে শিবলিঙ্গে মাথায় জল ঢালবেন “ইদং স্নানীয়োদকং পণ্ডপতয়ে নমঃ”
Q:শিবের মুখ কোন দিকে থাকা উচিত?
A:মহাদেব শিবের মুখ রাখার শাস্ত্র মতে এবং বিধি সম্মত দিক হলো উত্তর দিক।