শ্রী শনি চালিশা লিরিক্স: শনির সাড়ে সাতি দৃষ্টি থেকে মুক্তির উপায়!

Share Please:

শ্রী শনি চালিশা লিরিক্স: জীবনের বাধা-বিপত্তি, কর্মে বিঘ্ন, আর অজানা আশঙ্কা যখন বারবার ফিরে আসে, তখন অনেকেই শনির প্রভাবে কষ্ট পাচ্ছেন বলে মনে করেন। শনিদেব হলেন ন্যায়ের দেবতা এবং কঠোর কর্মফলদাতা। তাঁর কৃপা লাভ করতে হলে চাই একনিষ্ঠ ভক্তি এবং নিয়মিত স্তোত্র পাঠ। শনি চালিশা পাঠ করা হলো এমন এক উপায়, যার মাধ্যমে শনিদেবকে প্রসন্ন করা যায়। প্রতি শনিবার ভক্তিভরে এই চালিশা পাঠ করলে শনির সাড়ে সাতি, মহাদশা এবং সকল দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই আর্টিকেলে আমরা বাংলা হরফে হিন্দি উচ্চারণসহ শ্রী শনি চালিশার পূর্ণ লিরিক্স তুলে ধরছি — শনিদেবের আশীর্বাদের জন্য আজই পাঠ শুরু করুন!

শনি চালিশা লিরিক্স

শনি চালিশা লিরিক্স

॥ দোহা ॥

জয় গণেশ গিরিজা সুমন, মঙ্গল করণ কৃপাল।
দীনন কে দুখ দূর করি, কিজে নাথ নিহাল॥

জয় জয় শ্রী শনিদেব প্রভু, সুনো বিনয় মহারাজ।
করহু কৃপা হে রবি তনয়, রাখো জন কি লাজ॥

॥ চৌপাই ॥

জয়তি জয়তি শনিদেব দয়ালা।
করত সদা ভক্তন প্রতিপালা॥

চারি ভুজা, তনু শ্যাম বিরাজে।
মাথে রতন মুকুট ছবি ছাজে॥

পরম বিশাল মনোহর ভালা।
টেড়ি দৃষ্টি ভ্রুকুটি বিকরালা॥

কুন্ডল শ্রবণ চমাচম চমকে।
হিয় মাল মুক্তন মণি দমকে॥

কর মে গদা ত্রিশূল কুঠারা।
পল বিচ করেঁ অরিহিঁ সংহারা॥

পিঙ্গল, কৃষ্ণিঁ, ছায়া নন্দন।
যম, কৌণস্থ, রৌদ্র, দুখভঞ্জন॥

শৌরি, মন্দ, শনি, দশ নামা।
ভানু পুত্র পূজহিঁ সব কামা॥

জা পর প্রভু প্রসন্ন হ্যাঁই জাহিঁ।
রিঙ্কহুঁ রাও করেঁ ক্ষণ মাঁহিঁ॥

পর্বতহুঁ তৃণ হোঈ নিহারত।
তৃণহুঁ কো পর্বত করি ডারত॥

রাজ মিলত বন রামহিঁ দিনহ্যো।
কৈকেইহুঁ কি মতি হরি লিনহ্যো॥

বনহুঁ মেঁ মৃগ কপট দেখায়া।
মাতু জানকী গই চুরায়া॥

লক্ষণহিঁ শক্তি বিকল করিডারা।
মচিগা দল মেঁ হাহাকারা॥

রাবণ কি গতি মতি বউরাই।
রামচন্দ্র সোঁ বৈর বাড়াই॥

দিয়ো কীট করিঁ কঞ্চন লঙ্কা।
বজিঁ বজরং বীর কি ডঙ্কা॥

নৃপ বিক্রম পর তুহিঁ পগু ধারা।
চিত্র ময়ূর নিগলি গই হারা॥

হার নওলাখা লাগ্যো চোরি।
হাথ পায়র ডরবায়ি তোরি॥

ভারী দশা নিকৃষ্ট দেখায়ো।
তেলিহিঁ ঘর কোলহুঁ চলায়ো॥

বিনয় রাগ দীপক মহঁ কীনহ্যো।
তব প্রসন্ন প্রভু হ্যাঁই সুখ দিনহ্যো॥

হরিশচন্দ্র নৃপ নারি বিকানি।
আপহুঁ ভরে ডোম ঘর পানি॥

তৈসে নল পর দশা সিরানি।
ভুঁজীমীন কূদ গই পানি॥

শ্রী শংকরহিঁ গহ্যো জব জাই।
পার্বতী কো সতী করাই॥

তনিক বিলোকত হি করিঁ রীসা।
নভ উড়ি গয়ো গৌরিসুত শীসা॥

পাণ্ডব পর ভ্যো দশা তুমহারী।
বচী দ্রৌপদী হোতি উঘারী॥

কৌরব কে ভী গতি মতি মার্যো।
যুদ্ধ মহাভারত করিঁ ডার্যো॥

রবি কহঁ মুখ মহঁ ধরি ততকালা।
লেকর কূদ পর্যো পাতালা॥

শেষ দেবলখি বিনতি লাই।
রবি কো মুখ তে দিও ছুড়াই॥

বাহন প্রভু কে সাত সাজানা।
জগ দিগ্গজ গর্দভ মৃগ স্বানা॥

জম্বুক সিংহ আদি নখ ধারী।
সো ফল জ্যোতিষ কহত পুকারী॥

গজ বাহন লক্ষ্মী গৃহ আওয়েঁ।
হয় তে সুখ সম্পত্তি উপজাওয়েঁ॥

গর্দভ হানি করৈ বহু কাজা।
সিংহ সিদ্ধকর রাজ সমাজা॥

জম্বুক বুদ্ধি নষ্ট কর ডারে।
মৃগ দে কষ্ট প্রাণ সংহারে॥

জব আওয়েঁ প্রভু স্বান সবারী।
চোরী আদি হোয় ডর ভারী॥

তৈসহি চারি চরণ ইহ নামা।
স্বর্ণ লৌহ চাঁদী অরু তামা॥

লৌহ চরণ পর জব প্রভু আওয়েঁ।
ধন জন সম্পত্তি নষ্ট করাওয়েঁ॥

সমতা তাম্র রজত শুভকারী।
স্বর্ণ সর্ব সুখ মঙ্গল ভারী॥

জো ইহ শনি চরিত্র নিত গাওয়েঁ।
কবহুঁ না দশা নিকৃষ্ট সতাওয়েঁ॥

অদ্ভুত নাথ দেখাও লীলা।
করেঁ শত্রু কে নশি বলি ঢীলা॥

জো পণ্ডিত সুযোগ্য বুলাওয়াই।
বিধিবত শনি গ্রহ শান্তি করাই॥

পীপর জল শনি দিবস চড়াওয়াত।
দীপ দান দে বহু সুখ পাওয়াত॥

কহত রাম সুন্দর প্রভু দাসা।
শনি সুমিরত সুখ হোত প্রকাশা॥

॥ দোহা ॥

পাঠ শনিশ্চর দেব কো, কী হোঁ ভক্ত তৈয়ার।
করত পাঠ চালিস দিন, হো ভবসাগর পার॥


শনি চালিশা পাঠের নিয়ম

  1. পাঠের সেরা দিন: প্রতি শনিবার সকালে বা সূর্যাস্তের পর।
  2. স্থান: শনিদেবের মন্দির বা নির্জন পবিত্র স্থান।
  3. উপকরণ: কালো তিল, সরষের তেল, নীল ফুল, কালো কাপড়ে বাঁধা নারকেল।
  4. মনঃসংযোগ: পাঠের সময় দৃষ্টিতে স্থিরতা ও অন্তরে বিশ্বাস বজায় রাখুন।
  5. সংযম: পাঠের পূর্বে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে বসুন।

শনি চালিশা পাঠের উপকারিতা

  • শনির দোষ হ্রাস পায়
  • জীবনে শান্তি ও উন্নতি আসে
  • ব্যবসা ও কর্মজীবনে বাধা দূর হয়
  • মানসিক চাপ ও অশান্তি থেকে মুক্তি
  • পাপ কর্ম হ্রাস পায় এবং পুন্য অর্জিত হয়

উপসংহার

“শনি চালিশা কেবল একটি স্তোত্র নয়, এটি এক গভীর ভক্তি ও অটুট বিশ্বাসের প্রতীক। যাঁরা নিষ্ঠা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পাঠ করেন, শনিদেব তাঁদের জীবনের দুঃখ-দুর্দশা দূর করে আশীর্বাদে পূর্ণ করেন। প্রতি শনিবার শনি চালিশা পাঠ করলে শনিদেবের কৃপা ও সুরক্ষা লাভ করা সম্ভব।” প্রতি শনিবার নিয়মিত শনি চালিশা পাঠে শনি দেবের কৃপাদৃষ্টি লাভ সম্ভব, যা জীবনকে নিয়ে আসে শান্তি ও সমৃদ্ধি।”

পড়ুন আরও

Share Please:
অস্বীকৃতি

এই লেখা ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক তথ্য সরবরাহের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এতে বর্ণিত পুজা পদ্ধতি, মন্ত্র এবং অন্যান্য তথ্য প্রাচীন শাস্ত্র, লোকাচার ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। পাঠকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, নিজের বিশ্বাস ও সুবিধা অনুযায়ী পুজা পদ্ধতি গ্রহণ করুন। যেকোনো ধর্মীয় কাজ করার আগে যোগ্য পণ্ডিত বা বিদ্বান থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই লেখায় দেওয়া তথ্য ব্যবহারের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারকারীর ওপর থাকবে।

নতুন ধর্মীয় পোস্টের আপডেট পেতে Telegram গ্রুপে যোগ দিন Join Now

নমস্কার! আমি শ্রী গোপাল চন্দ্র — একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু সনাতনী। আমি বিগত সাত বছরের ও অধিক সময় ধরে, হিন্দু ধর্ম, সনাতন সংস্কৃতি এবং ভারতীয় আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য নিয়ে নিয়মিতভাবে অনুশীলন ও লেখালেখি করে আসছি। আমি হিন্দু ধর্মের প্রাচীন ঐতিহ্য, ধর্মগ্রন্থ, এবং আধ্যাত্মিকতার জ্ঞান সহজ ভাষায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করি, যাতে সকলেই এই মহান ধর্মের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি যে সনাতন ধর্ম শুধু একটি ধর্ম নয়, এটি একটি জীবনধারা, যা আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করে এবং জীবনের প্রকৃত অর্থ বোঝায়।"

Leave a Comment