অঙ্গে মাখো মাখো রে এই না ব্রজের ধুলা লিরিক্স

অঙ্গে মাখো মাখো রে এই না ব্রজের ধুলা লিরিক্স

অঙ্গে মাখো মাখো রে এই না ব্রজের ধুলা লিরিক্স

অঙ্গে মাখো মাখো রে এই না ব্রজের ধুলা লিরিক্স:এটি একটি জনপ্রিয় বাংলা অষ্টপ্রহরের হরি নাম সংকীর্তন, এই কীর্তন টি নগর ভ্রমণ করে আসার পর, দধি পসরা ভাঙার পরে এই গীতটি গাওয়া হয়। এর মানের হলো এই হরিবাসর বৃন্দাবনের রূপান্তরিত হয়েছে। বৃন্দাবনের পবিত্র ধুলি অঙ্গে মাখো। বৃন্দাবন হল সেই পবিত্র ভূমি যেখানে প্রভু শ্রীকৃষ্ণ তার শৈশবকাল কাটিয়েছিলেন। এই গানটি ঈশ্বরের প্রতি গভীর ভক্তি ও আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ এবং এটি শ্রোতাদের বৃন্দাবনের ধুলিকে ঐশ্বরিক রূপান্তরকারী শক্তি গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ করে।

অষ্টপ্রহরের ধুলা মাখো রে লিরিক্স হরি নাম সংকীর্তন

অঙ্গে মাখো মাখোরে,
এই না ব্রজের ধুলা।
ওরে ধুলা নয়রে ধুলা নয়রে,
গোপি পদ্মরেণু।

সেই ধুলা বাঞ্চাকরে,
ব্রজের রাইকানু।
অঙ্গে মাখো মাখোরে,
এই না ব্রজের ধুলা।

ওরে সংকীর্তনের ধুলা যদি,
পরে গঙ্গার জলে।
গঙ্গা ও মুক্ত হয়,
ভাগবদ বলে।

অঙ্গে মাখো মাখো হে,
এই না ব্রজের ধুলা।
ওরে সংকীর্তনের ধুলা যদি,
অঙ্গে মাখা যায়।

কটি জন্মের পাপ ছারিয়া,
স্বর্গে চলে যায়।
অঙ্গে মাখো মাখো রে,
এই না ব্রজের ধুলা।

ওরে সংকীর্তনের ধুলা যদি,
লাগে পাপির গায়।
সেই পাপ নেচে নেচে,
বৈকুণ্ঠেতে যায়।

অঙ্গে মাখো মাখো রে,
এই না ব্রজের ধুলা।
ওরে সংকীর্তনের ধুলা নিয়ে,
যে বা পথে যায়।

জলের কুমির বনের বাঘ,
ভয়েতে পালায়।
অঙ্গে মাখো মাখো রে,
এই না ব্রজের ধুলা।

ওরে সংকীর্তনের ধুলা রে ভাই,
যে বা করে হেলা।
সর্ব্ব অঙ্গ নষ্ট হয়,
চক্ষু হয় তার কানা।

অঙ্গে মাখো মাখো রে,
এই না ব্রজের ধুলা।
ওরে শ্রীদাম নাচে সুদাম নাচে,
নাচিতে লাগিলো।

মা যশোদা নেচে নেচে,
কৃষ্ণ কোলে নিলো।
অঙ্গে মাখো মাখো রে,
এই না ব্রজের ধুলা।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে


“অঙ্গে মাখো মাখো রে এই না ব্রজের ধুলা”—এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় বাংলা অষ্টপ্রহরের হরি নাম সংকীর্তন। এই কীর্তনটি সাধারণত নগর ভ্রমণ সম্পন্ন করার পর গাওয়া হয়, বিশেষ করে যখন দধি পসরা ভাঙার পর ভক্তরা একত্রিত হন। এই গানের মূল বার্তা হলো হরিবাসরকে বৃন্দাবনের রূপান্তরিত রূপ হিসেবে কল্পনা করা।

গানের ভাবার্থ ও গুরুত্ব

এই কীর্তনটি শ্রোতাদের আহ্বান করে যেন তারা নিজেদের পবিত্র করেন, যেন তারা বৃন্দাবনের ধুলিকে অঙ্গে ধারণ করে। বৃন্দাবন সেই পবিত্র ভূমি যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার শৈশবকাল অতিবাহিত করেছেন, এবং তার লীলা দ্বারা এই স্থানটি পূত ও অলৌকিক মহিমায় ভাস্বর হয়ে উঠেছে। এই গানের মাধ্যমে ভক্তদের আহ্বান জানানো হয় যে, তারা যেন সেই পবিত্র ধুলিকে নিজেদের শুদ্ধিকরণ ও আত্মার মুক্তির মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেন।

ভক্তির প্রকাশ ও অনুভূতি

“অঙ্গে মাখো মাখো রে এই না ব্রজের ধুলা” গানটি ঈশ্বরের প্রতি গভীর ভক্তি, প্রেম এবং আকাঙ্ক্ষার এক অনন্য প্রকাশ। ভক্তরা যখন এই গানটি গেয়ে থাকেন, তখন তারা নিজেদের বৃন্দাবনের অংশ বলে অনুভব করেন এবং শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্যের এক অপূর্ব অনুভূতি লাভ করেন। বৃন্দাবনের ধুলি এখানে কেবলমাত্র এক প্রতীক নয়, বরং এটি সেই ঐশ্বরিক শক্তির বাহক যা ভক্তদের অন্তরকে শুদ্ধ ও পরিশুদ্ধ করতে সক্ষম।

গানটি কেন এত জনপ্রিয়?

১. ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার সংমিশ্রণ: গানের কথাগুলো সরল হলেও এতে গভীর আধ্যাত্মিকতা রয়েছে, যা সহজেই ভক্তদের হৃদয়কে আন্দোলিত করে।

  1. সংকীর্তনের আবহ: অষ্টপ্রহরের সংকীর্তন সাধারণত সমবেতভাবে গাওয়া হয়, যা ভক্তদের মধ্যে একতা ও পারস্পরিক প্রেম বৃদ্ধি করে।
  2. বৃন্দাবনের প্রতি আকর্ষণ: যারা শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র বৃন্দাবনের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন, তাদের জন্য এই গানটি এক আবেগপূর্ণ অনুভূতির সৃষ্টি করে।

উপসংহার

“অঙ্গে মাখো মাখো রে এই না ব্রজের ধুলা” কীর্তনটি শুধুমাত্র একটি গান নয়, এটি এক আধ্যাত্মিক আহ্বান। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ভগবানের প্রতি ভক্তি ও প্রেমই মানবজীবনের প্রকৃত লক্ষ্য। বৃন্দাবনের ধুলি অঙ্গে মেখে আমরা যেন সেই পবিত্র শক্তির অংশীদার হতে পারি এবং ভগবানের সান্নিধ্য লাভ করতে পারি। এই কীর্তন ভক্তদের হৃদয়ে শ্রীকৃষ্ণপ্রেম জাগিয়ে তোলে এবং তাদের অন্তরে এক অপার শুদ্ধতা ও প্রশান্তির অনুভূতি প্রদান করে।


ধুলা মাখো রে এই না ব্রজের ধুলা গান সমাপ্ত।

আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদের অন্য পোস্ট গুলি পড়ুন।

১. সন্ধ্যা প্রদীপ দেওয়ার নিয়ম।

২. সংসার দাবানল মঙ্গল আরতি।

Share Please:

Leave a Comment