আপনি কি জানেন, শ্রীকৃষ্ণের একটিমাত্র নামই আমাদের চিত্তকে প্রশান্ত করে দিতে পারে? তাহলে ভাবুন, যদি এক নামেই এত শক্তি থাকে, তবে শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নামের মাহাত্ম্য কতটা অপরিসীম!
ভক্তের হৃদয়ে যিনি চিরকাল লীলা করে চলেছেন, সেই নন্দের নন্দন কৃষ্ণের এই ১০৮ নাম শুধু ভক্তির গভীর প্রকাশই নয়—এগুলো এক একটিই আত্মিক শান্তি ও ঈশ্বরস্মরণের এক একটি সিঁড়ি।
আজ আমরা জানব শ্রীকৃষ্ণের সেই পবিত্র ১০৮ নাম, তাদের অর্থ এবং প্রতিটি নামের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য—সহজ ভাষায়, হৃদয় থেকে হৃদয়ে পৌঁছানোর মতো করে।

কেনই বা ১০৮ টি নাম?
হিন্দু ধর্মে ১০৮ সংখ্যাটি অত্যন্ত পবিত্র। আমাদের মালাতেও ১০৮টি জপমণি থাকে, তেমনি শ্রীকৃষ্ণের ১০৮টি নাম পাঠ বা জপ করার মধ্য দিয়েই ঈশ্বরের সান্নিধ্য অনুভব করা যায়। এই নামগুলি শুধুই ঈশ্বরের নাম নয়—প্রতিটিই নামেরে মধ্যেই রয়েছে কোনো না কোনো গুণের প্রতিফলন।
শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নাম কখন জপ করা হয়?
- প্রতিদিন সকালে বা সন্ধ্যায়
 - কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিনে
 - উপবাসের সময়
 - ভক্তি বা ধ্যানের সময়
 
শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নাম ও তাদের অর্থ
| নাম | অর্থ | 
|---|---|
| ১. নন্দের নন্দন | – নন্দের পুত্র | 
| ২. যাদু বাছাধন | – যাদব বংশের শ্রেষ্ঠ | 
| ৩. সুন্দর গোপাল | – সুন্দর রূপের গোপাল | 
| ৪. ঠাকুর রাখাল | – রাখালরূপে ঈশ্বর | 
| ৫. ঠাকুর কানাই | – কানাই নামে পরিচিত | 
| ৬. রাখাল রাজা ভাই | – রাখালদের রাজা | 
| ৭. ননীচোরা | – যিনি মাখন চুরি করেন | 
| ৮. কালসোনা | – শ্যামবর্ণ রত্ন | 
| ৯. পতিত-পাবন হরি | – পাপীদের উদ্ধারকারী | 
| ১০. মোহন বংশীধারী | – বাঁশি সুরে মন মোহন করেন | 
| ১১. অনন্ত | – যার কোনো শেষ নেই | 
| ১২. কৃষ্ণ | – স্বয়ং পরম পুরুষ | 
| ১৩. দেব চক্রপাণী | – চক্রধারী দেবতা | 
| ১৪. বনমালী | – বৃন্দাবনের বনে বাস করেন | 
| ১৫. শ্রীমধুসূদন | – মধুর সংহারকারী | 
| ১৬. দেব নারায়ন | – নারায়ণ রূপে | 
| ১৭. দেব শ্রীগোবিন্দ | – গোবিন্দ রূপে | 
| ১৮. দেব দীনবন্ধু | – দীনদের বন্ধু | 
| ১৯. দারিদ্র-ভঞ্জন | – দারিদ্র দূর করেন | 
| ২০. ব্রজের জীবন | – ব্রজবাসীদের প্রাণ | 
| ২১. দর্পহারী | – অহংকার নাশ করেন | 
| ২২. পশুপতি | – সকল প্রাণীর রক্ষক | 
| ২৩. দেব যদুবর | – যাদব শ্রেষ্ঠ | 
| ২৪. কাঙ্গালের ঠাকুর | – দরিদ্রদের ভগবান | 
| ২৫. দেব-সৃষ্টি স্থিতি | – সৃষ্টিকর্তা | 
| ২৬. ধ্রুবের সারথি | – ধ্রুবের পথপ্রদর্শক | 
| ২৭. ভক্ত প্রাণধন | – ভক্তদের জীবন | 
| ২৮. লক্ষ্মী-নারায়ণ | – লক্ষ্মীর সঙ্গে অবস্থানকারী | 
| ২৯. সত্যের সারথি | – সত্যের রথচালক | 
| ৩০. দেব যোদ্ধাপতি | – যুদ্ধের অধিপতি | 
| ৩১. সংসারের সার | – সংসারের সারবত্তা | 
| ৩২. পাষাণ-উদ্ধার | – পাষাণ হৃদয় নরম করেন | 
| ৩৩. জগতের হরি | – সমগ্র জগতের ভগবান | 
| ৩৪. রাম | – রাম রূপে | 
| ৩৫. কুঞ্জকেশী | – কুঞ্জবনে কেশব | 
| ৩৬. নৃসিংহ-মুরারী | – নরসিংহ ও মুরারী রূপে | 
| ৩৭. মুনি-মনোহর | – মুনিদের মন মোহন | 
| ৩৮. নব জলধর | – নতুন মেঘের মতো রঙ | 
| ৩৯. গোবর্দ্ধনধারী | – গোবর্ধন ধারণকারী | 
| ৪০. প্রাণপতি | – প্রিয়তম | 
| ৪১. অরাতি-সুদন | – শত্রু বিনাশকারী | 
| ৪২. গদাধর | – গদা ধারণকারী | 
| ৪৩. মহাযোদ্ধা | – মহান যোদ্ধা | 
| ৪৪. দয়ানিধি | – করুণার আধার | 
| ৪৫. বৃন্দাবন-চন্দ্র | – বৃন্দাবনের চাঁদ | 
| ৪৬. যমুনার পতি | – যমুনার অধিপতি | 
| ৪৭. বাণী পতি | – বাণীর প্রভু | 
| ৪৮. সুমন্ত্র সারথি | – সারথি রূপে সুমন্ত্র | 
| ৪৯. দেব অন্তর্যামী | – অন্তর্যামী | 
| ৫০. ত্রিলোকের স্বামী | – ত্রিভুবনের প্রভু | 
| ৫১. অনাদির আদি | – আদিহীন যিনি | 
| ৫২. নট-নারায়ন – | নট রূপে নারায়ণ | 
| ৫৩. হরেকৃষ্ণ | – হরেকৃষ্ণ নামধারী | 
| ৫৪. দূর্বাবাদল-শ্যাম | – দূর্বাঘন শ্যামবর্ণ | 
| ৫৫. অনঙ্গমোহন | – প্রেমে মোহিত করেন | 
| ৫৬. শ্রীবংশীবদন | – বাঁশি বাজানো রূপ | 
| ৫৭. ক্রোধ-নিবারণ | – ক্রোধ নিবারক | 
| ৫৮. কৃতান্ত-শাসন | – মৃত্যুর অধিপতি | 
| ৫৯. নীলকান্তমণি | – নীল রত্নের মতো | 
| ৬০. গোপীকান্ত | – গোপীদের প্রিয় | 
| ৬১. দেব জগন্নাথ | – জগন্নাথ রূপে | 
| ৬২. অনাথের নাথ | – অনাথদের রক্ষক | 
| ৬৩. রাসেশ্বর | – রাসের ঈশ্বর | 
| ৬৪. সর্বযজ্ঞেশ্বর | – সব যজ্ঞের অধিপতি | 
| ৬৫. মিত্র-হিতকারী | – মিত্র ও হিতকারী | 
| ৬৬. ভব-ভয়হারী | – জন্ম-মৃত্যুর ভয় নাশকারী | 
| ৬৭. নীল-পীতবাস | – নীল ও পীত বসনধারী | 
| ৬৮. সর্ববেত্তা | – সব কিছু জানেন | 
| ৬৯. ব্রজের ঈশ্বর | – ব্রজের ঈশ্বর | 
| ৭০. অখিলের সার | – সমস্ত সৃষ্টির সার | 
| ৭১. পরম ঈশ্বর | – সর্বোচ্চ ঈশ্বর | 
| ৭২. দেব-পরাৎপর | – সর্বোচ্চ আত্মা | 
| ৭৩. অনাথের সখা | – অনাথদের বন্ধু | 
| ৭৪. রসসিন্ধু | – রসের সমুদ্র | 
| ৭৫. অরাতি দমন | – শত্রু বিনাশকারী | 
| ৭৬. নয়ন-রঞ্জন | – চোখের আনন্দ | 
| ৭৭. রাস-রাসেশ্বর | – রাসের প্রভু | 
| ৭৮. পূর্ণ শশধর | – পূর্ণিমার চাঁদের মতো | 
| ৭৯. পুরুষ প্রধান | – পুরুষদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ | 
| ৮০. ভক্তগণ প্রাণ | – ভক্তদের প্রাণ | 
| ৮১. নন্দের দুলাল | – নন্দের আদরের পুত্র | 
| ৮২. ব্রজের গোপাল | – ব্রজের রাখাল | 
| ৮৩. নয়নের মণি | – চোখের মণি | 
| ৮৪. জ্যোতিস্ময় | – আলোকময় | 
| ৮৫. কোটি চন্দ্রেশ্বর | – কোটি চাঁদের মতো | 
| ৮৬. দেব বিশ্বম্ভর | – বিশ্বকে ধারণকারী | 
| ৮৭. অচিন্ত্য-অচ্যুত | – অচিন্ত্য ও অচ্যুত | 
| ৮৮. জ্ঞানাতীত | – জ্ঞানাতীত | 
| ৮৯. দেব মহাকাল | – মহাকাল | 
| ৯০. ঠাকুর দয়াল | – করুণাময় ঠাকুর | 
| ৯১. পুতনা-নাশন | – পুতনার বিনাশকারী | 
| ৯২. কপিল তপোধন | – কপিল রূপে তপস্বী | 
| ৯৩. অগতির গতি | – আগতিদের পথপ্রদর্শক | 
| ৯৪. ত্রিলোকের পতি | – ত্রিলোকের অধিপতি | 
| ৯৫. অখিল বান্ধব | – সমস্ত সৃষ্টির বন্ধু | 
| ৯৬. দেব শ্রীমাধব | – মাধব রূপে | 
| ৯৭. যদুকুলপতি | – যদুবংশের পতি | 
| ৯৮. সৃষ্টি-স্থিতি | – সৃষ্টি ও সংরক্ষণকারী | 
| ৯৯. কাল-নিবারণ | – সময় রোধকারী | 
| ১০০. অজ্ঞ্যান-নাশন | – অজ্ঞান বিনাশকারী | 
| ১০১. পদ্মাক্ষ | – কমলনয়ন | 
| ১০২. ত্রিভঙ্গ | – ত্রিভঙ্গমূর্তি | 
| ১০৩. শ্রীরূপমঞ্জরী | – শ্রী রূপমঞ্জরীর প্রিয় | 
| ১০৪. গোপী মনোহরি | – গোপীদের মন মোহন | 
| ১০৫. অভীষ্টপুরণ | – ইচ্ছা পূরণকারী | 
| ১০৬. মদনমোহন | – প্রেমে মোহিতকারী | 
| ১০৭. কর্মবন্ধ-নাশ | – কর্ম বন্ধন থেকে মুক্তিদাতা | 
| ১০৮. পূর্ণ অভিলাষ | – সমস্ত অভিলাষ পূর্ণকারী | 
শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নামগুলি জপের উপকারিতা
শ্রীকৃষ্ণের নাম জপ করা কেবলমাত্র একটি আধ্যাত্মিক অভ্যাস নয়—এটি এক ধরনের আত্মিক সাধনা, যা মন, মস্তিষ্ক ও আত্মাকে একসাথে শুদ্ধ করে। বিশেষত যখন আমরা কৃষ্ণের ১০৮ নাম হৃদয় থেকে জপ করি, তখন তা আমাদের জীবনে বহু রকমের ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসে। নিচে এই জপের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা তুলে ধরা হল:
১. মানসিক প্রশান্তি:
জীবনের নানা দুঃখ-কষ্ট, উদ্বেগ আর অশান্তির মাঝে শ্রীকৃষ্ণের নাম উচ্চারণ এক অদ্ভুত শান্তির অনুভব এনে দেয়। এই নামগুলো জপ করার সময় মনের মধ্যে এক প্রশান্ত তরঙ্গ সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে মানসিক অস্থিরতা দূর করে।
২. একাগ্রতা বৃদ্ধি:
নিয়মিতভাবে কৃষ্ণনাম জপ করলে মন আর ভাবনার মধ্যে একটা স্থিরতা আসে। এতে মনোযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়, যা পড়াশোনা, কর্মজীবন কিংবা ধ্যানের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৩. পাপের ক্ষয়:
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, ঈশ্বরের নাম জপ করার মাধ্যমে আমাদের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে করা পাপ ক্ষয় হয়। কৃষ্ণের নাম একাধিকবার জপ করলে আত্মা শুদ্ধ হয় এবং পূর্বজন্ম ও এই জন্মের কর্মফল হ্রাস পায়।
৪. ভক্তির অনুভব ও আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি:
১০৮ নাম জপের মাধ্যমে একদিকে যেমন ভগবানের প্রতি গভীর ভক্তি গড়ে ওঠে, তেমনি অন্যদিকে নিজের আত্মবিশ্বাস, মানসিক শক্তি এবং আত্মিক অনুভূতি অনেকগুণ বেড়ে যায়। এই নামগুলো আমাদের ঈশ্বরের আরও কাছাকাছি নিয়ে যায় এবং আত্মা ও পরমাত্মার মধ্যে এক অপূর্ব যোগ স্থাপন করে।
কিভাবে করবেন শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নাম জপ?
শ্রীকৃষ্ণের নাম জপ করার জন্য খুব বেশি কিছু দরকার নেই—শুধু চাই একটুখানি মনঃসংযোগ আর ভক্তিভাব। তবে নিচের কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলে জপের ফল আরও বেশি স্পষ্ট ও গভীর হয়:
একটি শান্ত পরিবেশ বেছে নিন:
ঘরের একটি নিরিবিলি কোণে বা মন্দিরে বসে জপ করুন, যেখানে বাহ্যিক শব্দ কম থাকে এবং মন স্থির রাখা যায়।
নামগুলো মন দিয়ে পাঠ করুন:
প্রত্যেকটি নাম যেন আপনার হৃদয় স্পর্শ করে, সে চেষ্টা করুন। শুধু পড়ে যাওয়া নয়—নামের অর্থ অনুভব করাও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন অন্তত এক বা দুইবার ১০৮ বার জপ করুন:
আপনি চাইলে সকালে ও সন্ধ্যায় নিয়ম করে ১০৮ বার জপ করতে পারেন। নিয়মিততা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জপমালা ব্যবহার করুন:
একটি তুলসী বা রুদ্রাক্ষের মালা ব্যবহার করে জপ করলে তা মনোসংযোগে সাহায্য করে এবং গণনাও সহজ হয়।
মোবাইল অ্যাপ বা অডিওর সাহায্য নিন:
আপনার ব্যস্ত সময়ে আপনি মোবাইলে শ্রীকৃষ্ণের নামের অডিও শুনতে শুনতে মনঃসংযোগের সঙ্গে জপ করতে পারেন।
উপসংহার: আমি যেমন অনুভব করি
আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি—শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নাম কেবল নাম নয়, এই প্রত্যেকটি নামগুলি মাঝে ভগবানের অস্তিত্ব লুকিয়ে আছে। যখনই মন অশান্ত হয়, বা জীবনে কোথাও স্থিরতা পাই না, আমি একটু সময় নিয়ে কৃষ্ণের নাম জপ করি। চোখ বুজলেই মনে হয়, সেই মিষ্টি হাসি মুখ, বাঁশির ধারী পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের, ঠিক যেন আমার সামনে।
প্রতিদিন মাত্র ৫-১০ মিনিট সময় বের করে কৃষ্ণের নাম মন দিয়ে জপ করলে যে আধ্যাত্মিক শান্তি আসে, তা সত্যিই বলে বোঝানো যায় না—অনুভব করতে হয়। এই নামস্মরণ ধীরে ধীরে আমাকে বদলে দিয়েছে—আমি আরও ধৈর্যশীল, আরও ভক্তিপূর্ণ, আর অনেক বেশি শান্ত থাকতে শিখেছি।
তাই আমি বলব, যদি কখনও আপনার মন বিপথে যায় বা মনে হয় কুচিন্তা ভাবনা মন মস্তিষ্ক ভোরে যাচ্ছে—তাহলে একবার এই ১০৮ নামের আশ্রয় নিন। বিশ্বাস করুন, আপনি ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন—ভগবান তো কখনোই দূরে ছিলেন না, আপনি-আমি-আমরা সবাই তাঁর মধ্যেই ছিলাম, আছি, থাকব।
তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন কৃষ্ণভক্তির এই নামস্মরণ। চলুন, এক ধাপ এগিয়ে যাই ঈশ্বরের আরও কাছাকাছি—সহজ পথ অনুসরণ করে, এর ফল অসীম।
FAQ – আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর কৃষ্ণের ১০৮ নাম সম্পর্কে।
কৃষ্ণের ১০৮ নাম কি প্রতিদিন জপ করা যায়?
হ্যাঁ, আপনি প্রতিদিন সকালে বা রাতে জপ করতে পারেন। এটি মানসিক শান্তি আনে।
শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নামের মধ্যে কি কোনও বিশেষ নাম আছে?
সব নামই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ‘গোবিন্দ’, ‘মাধব’, ‘শ্যাম’ ইত্যাদি নামগুলি খুবই জনপ্রিয়।
শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নাম কখন জপ করা সবচেয়ে উপযোগী?
ভোরবেলা বা সন্ধ্যাবেলায় জপ করলে মন বেশি একাগ্র থাকে। তবে আপনি যেকোনো সময়, বিশেষ করে শান্ত পরিবেশে বসে জপ করতে পারেন।
শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নাম জপ করার জন্য মালা ব্যবহার করা কি বাধ্যতামূলক?
না, বাধ্যতামূলক নয়। তবে মালা ব্যবহার করলে জপের সংখ্যা নির্ধারণ সহজ হয় এবং মনোযোগ বজায় থাকে।