গণেশ চতুর্থী পূজা বিধি: গণেশ চতুর্থী হিন্দু ধর্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে সারা দেশ জুড়ে গণেশ চতুর্থী মহোৎসব পালিত হয়। ভগবান গণেশকে জ্ঞান, বিদ্যা, বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও বাধা-নাশক দেবতা হিসেবে পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে ভগবান গণেশ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং ভক্তদের সকল সংকট দূর করেন। তাই সঠিক নিয়মে ও আন্তরিকতার সঙ্গে পূজা করলে জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।

গণেশ চতুর্থী পূজার প্রস্তুতি
গণেশ চতুর্থীর পূজার আগে কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়।
- পূজাস্থল পরিষ্কার করা – সমস্ত বাড়ি বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব কোণ পরিষ্কার করবেন, মন্দির সবচেয়ে উপযুক্ত পূজাস্থল হিসাবে।
- গণেশের মূর্তি বা ছবি – মাটি বা ধাতুর মূর্তি ব্যবহার করাই শ্রেয় পূজার জন্য।
- প্রসাদ প্রস্তুত – বিশেষ করে মোদক ও লাড্ডু অবশ্যই রাখতে হবে।
- ভক্তের মানসিক প্রস্তুতি – পূজার সময় শান্ত মন, পরিষ্কার পোশাক ও আন্তরিক ভক্তিভাব থাকা অত্যান্ত জরুরি।
গণেশ পূজার ফর্দ (পূজা জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী)
- আসন, চৌকি/পীঠ, বস্ত্র (লাল/হলুদ/সাদা)
- কলশ, আম্রপল্লব/পাঁচপল্লব, নারকেল, গঙ্গাজল/পরিশ্রুত জল
- পঞ্চামৃত: দুধ, দই, ঘি, মধু, চিনি
- সিঁদুর, হলুদ, চন্দন, কুমকুম, গন্ধ
- ধূপ, দীপ, তুলো, ঘৃত/তেল, দেশলাই
- ফুল (রক্তজবা প্রিয়),জবা, গাঁদা, পদ্ম ইত্যাদি দূর্বাঙ্কুর, আকাঁশিয়া/বিল্ব নয়; তুলসী সাধারণত গণেশকে অর্পণ করা হয় না
- ফুলের মালা
- কর্পূর – ১ প্রদীপ
- অক্ষত (হলুদ মিশ্রিত চাল)
- চন্দন, সিঁদুর, কুমকুম
- রোলি – ৫টি
- আবীর
- বুক্কা – ৩১টি
- নাড়া – ৫টি
- আচার-উপচারে প্রয়োজনীয় জলপাত্র, চামচ, থালা
- পান-সুপারি, এলাচ, লবঙ্গ, মিষ্টান্ন
- দূর্বা – ১০৮টি
- ঘৃত প্রদীপ, ঘণ্টা/শঙ্খ, ধুপদান, আরতির থালা
- সুপারি – ২৫টি
- পানের পাতা – ৫টি
- উপবীত (যজ্ঞোপবীত) – ২টি
- পঞ্চামৃত (দুধ, দই, ঘি, মধু, চিনি মিশ্রণ)
- পঞ্চমেবা (কিশমিশ,কাজু, বাদাম, আখরোট, খেজুর)
- কসোরা (ছোট বাটি) – ২০টি
- নৈবেদ্য – বেসনের লাড্ডু, মোদক
- আটা (চৌক পূরণের জন্য)
- ঋতুফল – কলা, কমলা, আপেল ইত্যাদি
- পেড়া, বাতাসা
- শ্রীগণেশের মূর্তি বা ছবি (মাটি/ধাতু/পাথর)
- গঙ্গাজল
- ভগবান গণেশকে নিবেদনের জন্য উত্তরীয়/বস্ত্র, পৈতে (ইচ্ছেমতো)
- চাল – ২০০ গ্রাম
- সুগন্ধি (ইত্র)
নোট: যা নেই, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না—ভক্তিই প্রধান। বিকল্প হিসেবে সাদাফুল/চিনিগুড়া/সহজ নৈবেদ্য ব্যবহার করুন।
গণেশ পূজা করার নিয়ম –
ভগবান গণেশকে “বিঘ্ননাশক” বলা হয়। জীবনের যেকোনো শুভকাজের শুরুতে প্রথমে তাঁর পূজা করা হয়। নিচে গণেশ পূজার সঠিক নিয়ম ধাপে ধাপে দেওয়া হলো—
অর্থঃ যিনি শুভ্র বসনে আবৃত, যাঁর দেহ চাঁদের মতো উজ্জ্বল, চার হাতে বিভূষিত, আর যাঁর মুখ সর্বদা প্রসন্ন— তাঁকে আমি ধ্যান করি, যাতে সমস্ত বিঘ্ন দূর হয়।
১০. আরতি ও নামসংকীর্তন: পূজার শেষ পর্যায়ে গণেশ আরতি করতে হয়। সবাই মিলে ভক্তিসহকারে গণপতির নামসংকীর্তন করলে পূজা আরও সফল হয়।
আরতির সময় ঘণ্টা বাজানো, শঙ্খ ধ্বনি করা অত্যন্ত শুভ।
এভাবেই ধাপে ধাপে ভগবান গণেশের পূজা করলে, জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয় এবং ভক্ত সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি লাভ করেন।
গণেশ পূজা করার নিয়ম (ধাপে ধাপে নির্দেশিকা গণেশ চতুর্থী)
ভগবান গণেশকে “বিঘ্ননাশক” বলা হয়। তাই জীবনের যেকোনো শুভকাজ শুরুর আগে তাঁর পূজা করা অত্যন্ত জরুরি। নিচে ঘরে বসে সঠিকভাবে গণেশ পূজা করার সহজ ধাপগুলো দেওয়া হলো—
১. শুচিতা ও প্রস্তুতি
- পূজার আগে ভক্তকে প্রথমে স্নান করতে হবে এবং পরিষ্কার, ধোয়া কাপড় পরিধান করতে হবে।
- পূজাস্থল বা ঘরের মন্দির পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করতে হবে।
- শরীর ও মন পবিত্র না হলে পূজা সম্পূর্ণ হয় না।
২. আসন প্রদান ও প্রতিমা স্থাপন
- চৌকিতে লাল কাপড় বিছিয়ে শ্রীগণেশের আসন প্রস্তুত করুন।
- ভগবানের মূর্তি বা ছবি প্রস্তুত করে রাখা আসনে স্থাপন করুন।
- চন্দন, অক্ষত, ফুল ইত্যাদি দিয়ে ভগবানকে অলংকৃত করুন।
৩. কলশ স্থাপন ও অর্ঘ্য প্রস্তুত
- কলশে জল ভরে আম্রপল্লব বা পাঁচপল্লব রাখুন, উপরে নারকেল বসান।
- চন্দন, অক্ষত দিয়ে কলশ সাজিয়ে ভগবানের ডানদিকে স্থাপন করুন।
- ঘি/তেল দীপ জ্বালান ও ধূপ প্রস্তুত রাখুন।
৪.নৈবেদ্য প্রস্তুতি
- ভগবান গণেশের প্রিয় নৈবেদ্য হলো মোদক, লাড্ডু, ফল, নারকেল, কলা, আঙুর, আপেল ইত্যাদি।
- সম্ভব হলে ঘরে তৈরি মোদক বা লাড্ডু নিবেদন করা শ্রেষ্ঠ।
- নৈবেদ্য একটি পরিষ্কার থালা/পাতিলে সাজিয়ে রাখুন। থালার মাঝখানে মোদক/লাড্ডু দিন, চারপাশে বিভিন্ন ফল সাজান।
৫. সংকল্প গ্রহণ
- পূজা শুরু করার আগে ভগবান গণেশকে স্মরণ করুন।
- হাতে জল, ফুল ও অক্ষত নিয়ে পূজার সংকল্প করুন।
- মন্ত্র: “আজ আমি ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে শ্রীগণপতির পূজা করিব, পরিবার ও জীবনের নির্বিঘ্নতার জন্য।”
- এটি ভক্তের পূজার উদ্দেশ্যকে দৃঢ় করে এবং ভগবানের পূজা যেন নির্বিগ্নে সম্পন্ন হয় সেই আশীর্বাদ চাওয়া হয়।
৬. শ্রীগণেশ আহ্বান ও মন্ত্রপাঠ
এরপর ভক্ত ভগবান গণেশকে আহ্বান করবেন। সাধারণত নিম্নলিখিত মন্ত্র জপ করতে হয়—
ধ্যান করুন:
একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননং।
বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্॥”
মূল বীজমন্ত্র জপ করুন:
“ওঁ গং গণপতয়ে নমঃ” (৩,১১, ২১ বা ১০৮ বার জপ করলে ভগবান গণেশেকে আহ্বান করা হয়)
৭. অভিষেক ও শুদ্ধিকরণ
- প্রতীকীভাবে ভগবান গণেশের মূর্তিকে স্নান করান যাকে “অভিষেক” বলা হয়। এতে ব্যবহার করা হয়—
- গঙ্গাজল
- দুধ, দই, মধু, ঘি
- পঞ্চপত্র (ভেষজ ও জল মিশ্রণ)
- এরপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মূর্তিকে মুছে আবার চন্দন, ফুল দিয়ে সাজাতে হয়।
৮. ষোড়শোপচার পূজা (১৬ ধাপ)
প্রতিটি ধাপে বলুন “ওঁ গণেশায় নমঃ” এবং উপচার অর্পণ করুন—
- আসন – বিগ্রহকে আসন দান
- পাদ্য – পদপ্রক্ষালন
- অর্ঘ্য – মান্যতার জল
- আচমন্য – জল প্রদান
- স্নান – সাধারণ জল বা পঞ্চামৃত স্নান
- বস্ত্র – প্রতীকী কাপড় প্রদান
- যজ্ঞোপবীত – পৈতে দান (ঐচ্ছিক)
- গন্ধ – চন্দন/সিঁদুর তিলক
- অক্ষত – হলুদ মেশানো চাল অর্পণ
- পুষ্প – লাল ফুল, বিশেষত রক্তজবা
- ধূপ – সুগন্ধ ধূপ নিবেদন
- দীপ – প্রদীপ প্রদর্শন
- নৈবেদ্য – মোদক, লাড্ডু, ফল, নারকেল ইত্যাদি
- তাম্বুল/দক্ষিণা – পান-সুপারি ও সামর্থ্য অনুযায়ী দক্ষিণা
- প্রদক্ষিণ – ১/৩/৫ বার প্রদক্ষিণ
- প্রণাম ও স্তব – কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও নামস্মরণ
বিশেষ নিবেদন: ভগবান গণেশ দূর্বাঙ্কুর অত্যন্ত প্রিয়। অন্তত ২১টি দূর্বা নিবেদন করুন।
৯. ধূপ-প্রদীপ ও আরতি
- ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে নিবেদন করুন।
- পরিবার মিলে ভক্তিসহকারে গণেশ আরতি করুন।
- আরতির সময় ঘণ্টা বাজানো, শঙ্খ ধ্বনি করা অত্যন্ত শুভ।
১০. ধ্যান ও প্রার্থনা
ধ্যানমন্ত্র:
“খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং।
প্রস্যন্দন্মদ্গন্ধলুব্ধমধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্॥”
অর্থ: যিনি শুভ্র বসনে আচ্ছাদিত, চাঁদের মতো উজ্জ্বল, চার হাতে বিভূষিত ও প্রসন্ন মুখবিশিষ্ট— তাঁকে আমি ধ্যান করি, যাতে সমস্ত বিঘ্ন দূর হয়।
নিজের ভাষায় প্রার্থনা করুন— পরিবার, শিক্ষা, ব্যবসা, স্বাস্থ্য ও শান্তির জন্য। শেষে সহজ ক্ষমাপ্রার্থনা বলুন:
“হে বিঘ্নরাজ, কোনো ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। আমার ভক্তি শ্রীপায়ে গ্রহণ করুন।”
১১. বিসর্জন (সমাপনী)
- স্থায়ী বিগ্রহ হলে: বলুন— “হে শ্রীগণেশ, আজকের পূজা শেষ করলাম; আমাদের হৃদয়-মন্দিরে নিত্য বিরাজ করুন।”
- মাটির মূর্তি হলে: অনন্তচতুর্দশীতে বা সুবিধাজনক দিনে ঘরেই জলপূর্ণ টব/বালতিতে বিসর্জন করুন এবং সেই জল গাছের গোড়ায় ঢেলে দিন।
গণেশ চতুর্থীরশুভ সময়
- প্রভাতে বা মধ্যাহ্নে (চতুর্থী তিথি চলাকালীন) পূজা করা শ্রেষ্ঠ।
- সূর্যোদয়ের পর সময় নেওয়া ঘরোয়া পূজার জন্য উপযুক্ত।
- স্থানীয় রীতি বা পুরোহিতের পরামর্শ মানা উচিত।
এভাবেই ধাপে ধাপে গণেশ পূজা করলে জীবনের সব বিঘ্ন দূর হয় এবং ভগবান গণেশ ভক্তকে আশীর্বাদ করেন সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তিতে
গণেশ চতুর্থীর দিনে করণীয়
- পূজার দিনে ব্রত পালন করা অত্যন্ত শুভ।
- সারাদিন সম্ভব হলে নিরামিষ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
- পূজার শেষে দান-ধ্যান করলে ভগবান গণেশ প্রসন্ন হন।
- সন্ধ্যায় পুনরায় প্রদীপ জ্বালিয়ে গণেশ মন্ত্র জপ করলে অশুভ শক্তি দূর হয়।
গণেশ পূজার উপকারিতা
- সংসারের সব বাধা ও সংকট দূর হয়।
- বিদ্যা ও বুদ্ধির বৃদ্ধি ঘটে।
- কর্মজীবন ও ব্যবসায় উন্নতি আসে।
- পরিবারে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
- জীবনের কঠিন পরিস্থিতি সহজে কাটিয়ে ওঠার শক্তি দেয়।
উপসংহার
গণেশ চতুর্থীর পূজা শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং ভক্তদের মনে ভগবান গণেশের আশীর্বাদ আহ্বান করার একটি পবিত্র সুযোগ। সঠিক নিয়মে, ভক্তিভরে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে পূজা করলে জীবনে সমস্ত বাধা দূর হয় এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।
অন্যান্য আধ্যাতিক পোস্ট গুলো পড়ুন:-
*শ্রীকৃষ্ণ ভক্তির এক মহামূল্যবান স্তোত্র।
FAQ: গণেশ চতুর্থী পূজা বিধি সম্পর্কে
প্রশ্ন: গণেশ বন্দনা কিভাবে করতে হয়?
উত্তর:গণেশ বন্দনা করার সময় ভক্ত প্রথমে ভগবানকে আহ্বান করে মন্ত্র জপ করেন—“ওম গং গণপতে নমঃ”এরপর ধূপ, প্রদীপ জ্বালিয়ে ভক্তি সহকারে প্রার্থনা করতে হয়। গণেশ বন্দনার সময় সাধারণত ভগবানের নামসংকীর্তন, স্তোত্র পাঠ বা আরতি করা হয়। বিশেষ করে যে কোনো শুভ কাজের শুরুতে ভগবান গণেশের বন্দনা করলে সব বাধা দূর হয়।
প্রশ্ন:গণেশ কে?
উত্তর: গণেশ হলেন ভগবান শিব ও মা পার্বতীর সন্তান। তাঁকে বিঘ্ননাশক, সিদ্ধিদাতা ও জ্ঞানদাতা হিসেবে মানা হয়। পৃথিবীর সমস্ত দেবতার মধ্যে গণেশ প্রথম পূজিত হন, তাই তাঁকে ‘অগ্রপূজ্য’ বলা হয়। হিন্দু ধর্মে কোনো শুভ কাজ শুরু করার আগে গণেশ পূজা না করলে তা অসম্পূর্ণ মনে করা হয়।
প্রশ্ন: গণেশ পূজার নিয়ম কী?
উত্তর:গণেশ পূজার নিয়ম ধাপে ধাপে হলো—১.স্নান করে শুচি হয়ে পরিষ্কার কাপড় পরা। ২.পূজাস্থল গঙ্গাজল দিয়ে পবিত্র করা। ৩.ভগবানকে আহ্বান করে সংকল্প নেওয়া। ৪.গণেশ মূর্তি বা ছবি আসনে স্থাপন করা। ৫.গঙ্গাজল, দুধ, দই, মধু, ঘি দিয়ে অভিষেক করা। ৬.ধূপ-প্রদীপ জ্বালিয়ে নিবেদন করা। ৭.অর্ঘ্য প্রদান করা (বিশেষ করে ২১টি দূর্বা ঘাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ)। ৮. মোদক, লাড্ডু, ফল ও প্রসাদ নিবেদন করা। ৯.গণেশের ধ্যান। ১০. শেষে আরতি ও ভজন-সংকীর্তন করা। এই নিয়মে পূজা করলে ভগবান গণেশ ভক্তের সমস্ত বাধা দূর করে দেন এবং সুখ-সমৃদ্ধি প্রদান করেন।
প্রশ্ন: গণেশ চতুর্থী কবে পালিত হয়?
উত্তর: ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। সাধারণত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন: গণেশ পূজা করলে কী উপকার পাওয়া যায়?
উত্তর: ভগবান গণেশকে পূজা করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয়, বিদ্যা ও বুদ্ধির বৃদ্ধি ঘটে, সংসারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।