
একাদশী ব্রতের খাদ্যতালিকা: হিন্দু ধর্মে একাদশী উপবাস অত্যন্ত পবিত্র এবং আত্মশুদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রত। এই বিশেষ দিনে ভগবান বিষ্ণুর উপাসনার মাধ্যমে ভক্তরা শারীরিক ও মানসিক শুদ্ধি ও ঈশ্বরের বিশেষ কৃপা লাভ করেন। তবে উপবাসের মূল উদ্দেশ্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকা নয়, বরং শাস্ত্র অনুযায়ী ব্রতের নিয়ম পালন করা।
অনেকেই আছেন একাদশীর উপবাস রাখতে চান, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য সম্পূর্ণ দিন কিছু না খেয়ে থাকতে পারেন না, তাই তাদের জন্য শাস্ত্রে অনুকল্প ব্যবস্তা আছে, তাই একাদশীতে নির্দিষ্ট কিছু উপবাসযোগ্য খাবার প্রসাদ রূপে গ্রহণ করা চলে। কিন্তু উপবাসের মধ্যেও কিছু খাদ্য গ্রহণ করা যায়, আবার কিছু খাবার একেবারেই নিষিদ্ধ, পরিহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একাদশী ব্রতের সঠিক বিধান অনুসরণ করতে হলে আমাদের জানতে হবে কোন কোন খাদ্য নিষিদ্ধ এবং কোনগুলো গ্রহণ করা যাবে। এই নিবন্ধে আমরা একাদশীতে নিষিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য অন্ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক সঠিক বিধান কি।
একাদশীতে অন্ন গ্রহন না করার বৈজ্ঞানিক কারণ
প্রকৃতির সবকিছু একটা নির্দিষ্ট নিয়মে চলে, আর তার প্রভাব আমাদের মানব শরীরের উপরেও পড়ে। প্রতি মাসের কৃষ্ণ ও শুক্লপক্ষের একাদশী থেকে পূর্ণিমা ও একাদশী থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত সমুদ্রের জোয়ার ঢেউ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। যার কারণে, এই সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসে এবং তার আকর্ষণ শক্তি সমুদ্রের জলকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে, যার ফলে ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যায়।
আমাদের মানব শরীরও প্রায় ৯০% জলীয় উপাদান দ্বারা গঠিত, তাই চাঁদের এই আকর্ষণশক্তি আমাদের শরীর উপরেও প্রভাব ফেলে। এই সময়ে যদি অন্ন বা ভারী খাবার খাওয়া হয়, তবে তা শরীরের জন্য অহিতকারী, যার ফলে হজমের সমস্যা, শারীরিক ভারসাম্যহীনতা ও নানা ধরনের রোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে।
মানবদেহ একটি যন্ত্রের মতো, যা প্রতিদিন তিন থেকে চারবার খাবার খাওয়ার ফলে হজমতন্ত্রের কোনো বিশ্রামের সুযোগ পায় না। একাদশীর দিন উপবাস করলে শরীর সেই প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায়, হজমতন্ত্র স্বাভাবিক হয় এবং শরীরের ভেতর শুদ্ধির কাজ সহজে সম্পন্ন হয়।
শুধু শরীর এর নয়, একাদশীর উপবাস মনেরও উপকার করে। এই দিন মন শান্ত থাকে, একাগ্রতা বাড়ে এবং ভক্তিতে গভীরতা আসে। উপবাস আমাদের শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শক্তিকে জাগিয়ে তোলে।
তাই, একাদশীর উপবাস শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এটি প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী আমাদের শরীর ও মনের জন্য একটি উপকারী সাধনা।
একাদশী ব্রতের খাদ্যতালিকা যে পাঁচ প্রকার রবিশস্য সম্পূর্ণ বর্জনীয়ঃ
ধান, গম, যব, ডাল, সরিষা এবং এগুলো থেকে উৎপন্ন সকল প্রকার খাদ্য। যেমনঃ—
১. ধান এর থেকে তৈরী- অন্ন, চাল, মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েস, খিচুড়ি, চাউলের পিঠা, খৈ ইত্যাদি।
২. গম এর থেকে তৈরী- আটা, ময়দা, সুজি, দলিয়া, মক্কা, শ্যামা চাল, চালের গুড়ো এবং সমস্ত প্রকারের বেকারীর রুটি বা সকল প্রকার বিস্কুট, হরলিকস ইত্যাদি।
৩. যব, জোয়ার, বাজরা, ছাতু, খই, রুটি, পাপড়, সোয়াবিনের দই, সোয়াবিনের দুধ ইত্যাদি।
৪. ডাল এর থেকে তৈরী– মসুর ডাল, মুগ ডাল,খেসারী, অড়হর/তুর ডাল, চনা ডাল, মটর ডাল, উড়দ ডাল, রাজমা,ছোলার ডাল, সয়াবিন ডাল, কালো মসুর ডাল, ছোলা, কাবুলি ছোলা, মেশুর ডাল, বটের ডাল, মসকালাই ডাল, বেসন, কলাই ডাল গুড়ো ইত্যাদি।
৫. বর্জনীয় তেল- আনাজ থেকে তৈরী তেল যেমন সরিষার তেল, তিল তেল, সোয়াবিন তেল, চালতুষ তেল, মক্কার তেল ও বনস্পতি তেল ইত্যাদি ব্যবহার করা সম্পুর্ণ বর্জনীয়। এই তেলে ভাজা যেমন চিনেবাদাম, কাজু আলুর চিপস্ ও অন্যান্য হালকা খাবার বর্জনীয়।
উপরোক্ত পঞ্চ রবিশষ্য যে কোন একটি একাদশীতে গ্রহণ করলে ব্রত নষ্ট হবে। উল্লেখ্য যারা সাত্ত্বিক আহাড়ী নন এবং চা, বিড়ি / সিগারেট, পান, কফি ইত্যাদি নেশা জাতীয় পদার্থ গ্রহণ করেন, একাদশী ব্রত কারীকে এই সব নেশা জাতীয় পদার্থ বর্জন করা উচিত।
একাদশীতে কি কি সবজি খাওয়া যায় না
১. টমেটো, বেগুন, বাঁধাকপি, শিমলা মিরচা, মটর, সব রকমের শিম, রাজমা, ইত্যাদি এবং ঐসব থেকে বানানো পদার্থ
২. করলা, লাউ, পটল, বরবটি, শিম, ঢেঁড়স, মোচা, বরবটী ও শিম ইত্যাদি।
৩. সব প্রকারের পাতা সব্জি যেমন পুঁই শাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, নটে শাক, হেলঞ্চা শাক, সজনের শাক, কুমড়ার শাক, লাউ শাক, স্যালাড বাধা কপি, কারী পাতা, নিম পাতা, ইত্যাদি ।
৬. মক্কা বা অন্নের মাড় তথা, তার থেকে তৈরী বা মিশ্রিত বস্তু যেমন কাস্টার্ড কেক, হালুয়া, ক্রীম, মিঠাই,মধু, সাবুদানা ইত্যাদি।
একাদশীতে কি কি মসলা খাওয়া যায় না
জিরা, মেথি, হিং, সরষে, তেঁতুল, মৌরী, এলাচি, কালোজিরে, জায়ফল, পোস্ত, জোয়ান, লবঙ্গ, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার, কাস্টার্ড পাউডার, ইত্যাদি।
গ্রহনযোগ্য একাদশী ব্রতের খাদ্যতালিকা
একাদশী তে নির্জলা একাদশী ব্রত পালন করতে পারলে সব থাকে ভালো, যদি না পারেন তাহলে এই খাদ্য সামগ্রী গুলি অনুকল্প হিসাবে শ্রী ব্রিষ্ণু কে অর্পণ করে প্রসাদ রূপে গ্রহণ করা যেতে পারে।
একাদশীতে কি কি ফল খাওয়া যায়
একাদশীতে গ্রহণ সব রকমের তাজা ফল—কলা, কমলালেবু, কাঠাল, নাশপাতির, আপেল, আখ, আম, কাঁঠাল, পানিফল, লিচু, জাম, কলা, পেঁপে, পানিফল, আনারস, নারকেল, তরমুজ, পেয়ারা, সফেদা, ডালিম (আনার) ইত্যাদি। ফল মূলাদি গ্রহণ করা যেতে পারে। এছারাও দেশী গরুর দুধ, দুধের তৈরী সব রকমের পদার্থ গ্রহণ করতে পারেন।
দক্ষতা—যে সব লোকের সবসময় কফ, সর্দি, দমা, ফোলাভাব, হাঁটুব্যথা ও কম রক্তচাপ (Low Blood Pressure) এর সমস্যা আছে তাদেও লেবু সেবন করা উচিৎ নয়।
একাদশীতে কি কি সবজি খাওয়া যায়
গোল আলু, মিষ্টি আলু, আলু, চাল কুমড়া, পেঁপে, টমেটো, ফুলকপি, কুমড়ো, শশা, মূলা এই সবজিগুলো একাদশী ব্রত পালনকারীরা বিশুদ্ধ ঘি দিয়ে রান্না করে প্রথমে শ্রীহরিকে উৎসর্গ করে, তারপর প্রসাদরূপে গ্রহণ করতে পারেন।
একাদশীতে কি কি মসলা খাওয়া যায়
গোলমরিচ, আদা, সন্ধক লবণ (সমুদ্রী লবণ একাদশীর দিন প্রয়োগ করা হয় না), কাঁচা হলুদ, দেশী ঘি, দেশী গরুর দুধ থেকে তৈরী মাখন থেকে বানানো শুদ্ধ ঘী, বাদাম তেল, নারকেল তেল। চিনির বদলে গুড় প্রয়োগ করা সবথেকে ভালো।
একাদশীতে শ্যামা চাল খাওয়া যায় ?
যদি কেউ সম্পূর্ণ না খেয়ে একাদশীর উপবাস করতে অসমর্থ হয়, তাহলে অনুকল স্বীকারের ব্যবস্থা আছে শাস্ত্রে। শংকর ও পার্বতীর মধ্যে সংবাদ পদ্মপুরাণে দ্রষ্টব্য-
অন্নন্তু ধান্য-সংভূতং গিরিজে যদি জায়তে।
ধান্যানি বিবিধানীহ জগত্যাং শুশ্ৰু যত্নতঃ ॥
শ্যাম-মাস-মসুবাশ্চ ধান্য কৌদ্রব সর্ষপাঃ।
যব-গোধুম-মুদ্রাশ্রুতিল-কংগু-কোলথকাঃ ॥
গবেধুকাশুনিবারা আতকশ্রুকলায়কাঃ ।
মান্ডুকো বজ্রকো রঙ্ক কীচকো বড়কস্তথা ।
তিল কনকাদ্ধশুধান্যানি কথিতানীহ ॥
“হে গিরিজে (হিমালয় পর্বতের কন্যা) অনাজ থেকে উৎপন্ন ব্যঞ্জন অন্ন নামে জানা যায়। এই জগতে অনেক প্রকারের অনাজ আছে। এদের প্রকার আপনাকে বলছি মন দিয়ে শোন। শ্যামা চাল, মসুর ডাল, বীণ, কোদ্রব, তিল, পঙ্গু, কুলথ, গবেধুক (তুন ধান্য) আতপ, মটর, মণ্ডুক, বাজরা, রল্ক, কীচক, (বাস ধান্য) বরবটী, তিলক (ঘরের অনাজ) ছোলা ইত্যাদি। এর মধ্যে জোয়ার ও মক্কা পরে । এই জন্য শ্যামা চাল, গমের আটা, ছোলা ইত্যাদি ব্যঞ্জনকে অন্ন ধরা হয়। সুতরাং একাদশীর দিন এসব খাওয়ার অযোগ্য।”
একাদশীতে সাবুদানা ও চা বর্জিত
একাদশীতে কি সাবু খাওয়া যায়
আহার শরীরকে শক্তি দেয় ও উপবাস আমাদের আরোগ্য করে। সাধারণত সাবুদানাকে শাকাহারী বলা যায় ও উপবাসে এর প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি যে শাকাহারী সাবুদানা আসলে যে পক্রিয়ায তৈরী হত সেটি শুদ্ধ নয়। তাই আসুন এর স্বরূপ জানা যাক! সাবুদানা (Tapioca) ‘কসাবা’ (Cassava, Manihot esculenta) নামক বনস্পতির মূল থেকে তৈরী হয়। একথা সত্যি। কিন্তু সাবুদানা তৈরীর পদ্ধতি এতই অপবিত্র যে তাকে শাকাহারী ও স্বাস্থ্যপ্রদ বলা চলে না।
সাবুদানা তৈরির প্রকৃত সত্য
সাবুদানা তৈরির প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ ও জটিল। সর্বপ্রথম কসাবা বনস্পতির মূলকে খোলা ময়দানে অবস্থিত কুয়োতে ফেলে রাখা হয়। এরপর রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে পচিয়ে তা পরিস্কার করা হয়। এরপর সেই মূল থেকে নির্যাস বের করে তরল পদার্থে রূপান্তরিত করা হয়।
এরপর সেই তরল পদার্থকে সাবুদানা ছানাতে পরিণত করা হয় এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা আটায় রূপান্তরিত করা হয়। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি খোলা স্থানে সম্পন্ন হয় এবং এতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। পরবর্তী ধাপে, সেই আটা মেশিনে দিয়ে ছোট ছোট দানায় রূপান্তর করা হয়, যা পরবর্তীতে “সাবুদানা” নামে পরিচিতি পায়।
তবে এই চকচকে সাদা সাবুদানার পিছনে রয়েছে এক অজানা বাস্তবতা। প্রস্তুত প্রক্রিয়ার সময় এতে একপ্রকার রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়, যা সাবুদানাকে ধবধবে সাদা করে তোলে। এই কারণে, বিশেষত একাদশীর দিনে সাবুদানা খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি শুদ্ধ ও সাত্ত্বিক আহারের অন্তর্ভুক্ত নয়।
একাদশীতে কি চা খাওয়া যায় ?
একাদশীর উপবাস ও চা পরিহারের গুরুত্ব:একাদশীর উপবাস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো শারীরিক ও মানসিক শুদ্ধতা অর্জন, যা ভগবান ভক্তির জন্য সহায়ক। এই দিনে সহজপাচ্য ও সত্ত্বগুণ সম্পন্ন আহার গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে শরীর ও মন প্রশান্ত থাকে এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
চা পান না করার পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। চায়ে থাকা ক্যাফেইন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যা মনকে অস্থির করে তোলে এবং একাগ্রতা ও ভক্তিমূলক চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটায়। এছাড়া, চা সাধারণত তামসিক বা রাজসিক গুণসম্পন্ন, যা একাদশীর উপবাসের উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। অনেকেই চায়ে দুধ ও চিনি মেশান, যা উপবাসের নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়। দুধ ও চিনির সংমিশ্রণ হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
অন্যদিকে, খালি পেটে চা পান করলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে, যা একাদশীর উপবাসের উপকারিতা নষ্ট করে দিতে পারে। বৈদিক শাস্ত্র অনুসারে, উপবাসের দিনে বিশুদ্ধ, সহজ ও পবিত্র আহার গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চা অনেক ক্ষেত্রেই প্রক্রিয়াজাত ও তামসিক উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি হয়, যা আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
এই কারণে অনেক ধার্মিক ব্যক্তি একাদশীর দিনে চা পরিহার করেন এবং এর পরিবর্তে তুলসী-জল বা লেবু-সরবত এর মতো বিশুদ্ধ পানীয় গ্রহণ করেন, যা শরীর ও মনকে শুদ্ধ রাখার পাশাপাশি ভক্তিমূলক ভাব জাগ্রত করতে সহায়ক।
একাদশী ব্রত সম্পর্কে কিছু উপকারী পোস্ট
*একাদশী উপবাসের নিয়ম ও পালনের সম্পুর্ণ গাইড।
*নির্জলা একাদশী পালনের সঠিক নিয়ম ও সম্পুর্ণ তথ্য।
একাদশী ব্রতের খাদ্যতালিকা – FAQ
প্রশ্ন: একাদশীতে কি সাবু খাওয়া যায়?
উত্তর: না, একাদশীতে সাধারণত সাবু (সাবু দানা) খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি (Tapioca) ‘কসাবা’ (Cassava, Manihot esculenta) নামক বনস্পতির মূল থেকে তৈরী হয়। যা শস্যজাতীয় খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত। তবে কেউ কেউ নিরামিষ উপায়ে সাবু খেয়ে থাকেন, কিন্তু কঠোর ব্রত অনুসারীদের জন্য এটি পরিহারযোগ্য।
প্রশ্ন: একাদশীতে কি আটা খাওয়া যায়?
উত্তর: না, একাদশীতে আটা খাওয়া নিষিদ্ধ। শাস্ত্র অনুসারে, একাদশী ব্রতে গম ও গমজাতীয় যেকোনো খাদ্য গ্রহণ করা উচিত নয়। যেমন আটা, ময়দা, রুটি, পরোটা ইত্যাদি খাওয়া নিষিদ্ধ।
প্রশ্ন: একাদশীতে কি পটল খাওয়া যায়?
উত্তর: না, একাদশীতে পটল খাওয়া উচিত নয়। শাস্ত্র মতে, একাদশী ব্রতে কিছু নির্দিষ্ট সবজি পরিহার করার নির্দেশ রয়েছে, যার মধ্যে পটলও অন্তর্ভুক্ত। তাই ব্রতের শুদ্ধতা রক্ষা করতে পটল না খাওয়াই ভালো।
প্রশ্ন: একাদশীতে কি চা খাওয়া যায়?
উত্তর: না, একাদশীতে চা পান করা উচিত নয়, বিশেষ করে দুধ ও ক্যাফেইনযুক্ত চা। শাস্ত্রীয় মতে, একাদশী ব্রতে সহজপাচ্য ও সাত্ত্বিক খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়, যেখানে চা পান বাঞ্ছনীয় নয়। চায়ে ক্যাফেইন থাকে, যা শরীরে অম্লতা (acidity) সৃষ্টি করতে পারে এবং উপবাসের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।