
শ্রী সত্যব্রত মুনি কর্তৃক রচিত
দামোদর অষ্টকম এক অনন্য ও পবিত্র স্তোত্র যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দামোদর রূপের গৌরব বর্ণনা করে। এটি শ্রী পদ্ম পুরাণে উল্লেখিত এবং বিশেষত কার্তিক মাসে পাঠের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। কার্তিক মাস, যা ‘দামোদর মাস’ নামেও পরিচিত, বৈষ্ণবদের জন্য অত্যন্ত শুভ। এই মাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তিভাবে এই স্তোত্র পাঠ করলে অসীম কৃপা লাভ হয় এবং জীবের সমস্ত পাপ ধ্বংস হয়।
এই স্তোত্রটি মূলত গোকুলের এক অপূর্ব ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়, যেখানে মা যশোদা শ্রীকৃষ্ণকে উলুখলযোগে বেঁধেছিলেন। এটি শ্রীকৃষ্ণের শৈশব লীলার অনন্য এক চিত্র তুলে ধরে এবং তাঁর প্রতি ভক্তের গভীর প্রেম ও সমর্পণের গুরুত্ব বোঝায়। এই স্তোত্র পাঠের মাধ্যমে ভক্তরা শ্রীকৃষ্ণের কৃপা, দয়া ও আশীর্বাদ লাভ করে। বিশেষত, দামোদর ব্রত পালনকারীদের জন্য এটি অপরিহার্য পাঠ।
শ্রী দামোদর অষ্টকম মন্ত্র
১. নমামীশ্বরং সচ্চিদানন্দ-রূপং,
লসৎ কুণ্ডলং গোকুলে ভ্ৰাজমানম্।
যশোদা-ভিয়োলুখলাদ্ধাবমানং
পরামৃষ্টমত্যং ততোদ্রুত্য গোপ্যা ॥
২. রুদন্তং মুহুর্নেত্র-যুগ্মং মৃজন্তং,
করাম্ভোজ-যুগ্মেন সাতঙ্ক-নেত্রম্ ।
মুহুশ্বাস-কম্পত্রিরেখাঙ্ক-কণ্ঠ—
স্থিত-গ্রৈব-দামোদরং ভক্তি-বদ্ধম্ ॥
৩. ইতিদৃক স্ব-লীলাভিরানন্দ—কুণ্ডে,
স্ব-ঘোষং নিমজন্তমাখ্যাপয়ন্তম্।
তদীয়েশিতজ্ঞেসু ভক্তৈৰ্জ্জিতত্ত্বং,
পুনঃ প্রেমতস্তং শতাবৃত্তি বন্দে ॥
৪. বরং দেব! মোক্ষং ন মোক্ষাবধিং বা;
ন চান্যং বৃণেহহং বরেশাদপীহ।
ইদন্তে বপুৰ্ণাথ! গোপাল-বালং
সদা মে মনস্যাবিরাস্তাং কিমন্যৈঃ॥
৫. ইদন্তে মুখাম্ভোজমব্যক্তনীলৈ –
বৃতং কুন্তলৈঃ স্নিগ্ধ-রক্তৈশ্চ গোপ্যা।
মুহুচুম্বিতং বিম্ব-রক্তাধরং মে,
মনস্যাবিরাস্তামলং লক্ষ-লাভৈঃ ॥
৬. নমো দেব! দামোদরানন্ত! বিষ্ণো!
প্রসীদ-প্রভো! দুঃখ-জ্বালাব্ধি-মগ্নম্ ।
কৃপাদৃষ্টি-বৃষ্ট্যাতিদীনং বতানু গৃহানেশ!
মামজ্ঞ্যমেধ্যক্ষি-দৃশ্যঃ ॥
৭. কুবেরাত্মজৌ ভক্তি-ভাজৌ কৃতৌ চ।
ত্বয়া মোচিতৌ ভক্তিং স্বকাং মে প্রযচ্ছ
ন মোক্ষে গ্রহো মেহন্তি দামোদরেহ ॥
৮. নমস্তেহস্ত দাম্নে স্ফুরদীপ্তি-ধাম্নে
ত্বদীয়োদরায়াথ বিশ্বস্য ধাম্নে।
নমো রাধিকায়ৈ ত্বদীয় প্রিয়ায়ৈ
নমোহনন্ত-লীলায় দেবায় তুভ্যম্ ॥
মাহাত্ম্য (গুণগান)
এই দামোদর অষ্টকম স্তোত্র পাঠ করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অশেষ কৃপা লাভ হয়। বিশেষ করে, কার্তিক মাসে এই স্তোত্র পাঠ করলে অগণিত পাপ নাশ হয় এবং পরম ধাম লাভ করা যায়। যিনি প্রতিদিন ভক্তিভাবে এই স্তোত্র পাঠ করেন, তিনি শ্রীকৃষ্ণের অনন্ত করুণা ও প্রেম লাভ করেন।
শ্রীকৃষ্ণর্পণমস্তু!