ছোটদের রামায়ণের গল্প: লঙ্কা কাণ্ড এক ঐতিহাসিক অধ্যায়

ছোটদের রামায়ণের গল্প

ছোটদের রামায়ণের গল্প লঙ্কা কাণ্ড 

ছোটদের রামায়ণের গল্প: লঙ্কার পথে শ্রীরাম ও তাঁর বাহিনীর গমন একটি অসাধারণ কাহিনি, যা ভক্তি, বীরত্ব ও পরম নিষ্ঠার প্রতীক। বিপুল সমুদ্র পার করে লঙ্কায় পৌঁছানো এক কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু বিশ্বকর্মার পুত্র নলের আশ্চর্য দক্ষতায় তৈরি হলো এক মহৎ সেতু—যা ইতিহাসে পরিচিত “রামসেতু” নামে। এই গল্প শুধু একটি যুদ্ধের বিবরণ নয়, বরং এটি ধর্ম ও অধর্মের সংঘাত, অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় উপাখ্যান। চলুন, এই মহাযুদ্ধের প্রতি পর্বের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করি।

লঙ্কা গমনের জন্য শ্রীরামের সেনার সেতুবন্ধন

লঙ্কাপুরী, একশো যোজন চওড়া সমুদ্রের ওপারে অবস্থিত। কিন্তু কীভাবে রাম ও লক্ষ্মণ বিশাল বানরবাহিনী নিয়ে সেখানে পৌঁছবেন? এই কঠিন সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলেন বিশ্বকর্মার পুত্র, নল।

তার আশ্চর্য ক্ষমতায় গাছ ও পাথর জলে ভেসে ওঠে। এই কথা শুনে বানরসেনারা দ্রুত কাজে নেমে পড়ল। তারা একের পর এক গাছ ও পাথর এনে দিতে লাগল, আর নল সেগুলি কে সাজিয়ে সাজিয়ে মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যেই এক ভাসমান সেতু তৈরি করে ফেললেন।

এই মহান কাজে ছোট্ট কাঠবিড়ালীরাও অংশ নিয়েছিল। তারা সমুদ্রতীরে গড়াগড়ি খেয়ে শরীরে কালি মেখে তা সেতুর ওপর ঝেড়ে ফেলে ফাঁকগুলো ভরাট করল। এভাবেই তৈরি হলো সেই ঐতিহাসিক সেতু, যা রাম ও তাঁর বাহিনীকে লঙ্কাপুরীতে পৌঁছে দিল।

বানরসেনাদলসহ শ্রীরাম-লক্ষ্মণের লঙ্কায় গমন

সমুদ্রের ওপর নলের তৈরি ভাসমান সেতুর ওপর দিয়ে অসংখ্য বানর সৈন্য লঙ্কায় গিয়ে উপস্থিত হলেন। চারদিক থেকে রাবণের পুরী ঘিরে ফেলল। ঘনঘন রাম আর সুগ্রীবের জয়ধ্বনি দিয়ে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুলল। অন্যদিকে, রাবণও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলেন। তিনি তাঁর রাক্ষসসেনাদলকে রণসাজে সজ্জিত করালেন, এবং তারাও সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো।

শ্রীরামের সঙ্গে বিভীষণের মিলন

রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও বিভীষণ—তিন ভাই। কিন্তু এই তিনজনের মধ্যে একমাত্র বিভীষণই ছিলেন পরম ধার্মিক। তিনি দাদা রাবণের সীতাহরণ এবং এই যুদ্ধকে সমর্থন করেননি। বিভীষণ বুঝতে পারছিলেন যে রাবণের পাপের ফলে সমগ্র রাক্ষসবংশ ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই তিনি শ্রীরামের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করতে চাইলেন, আর শ্রীরামচন্দ্রও তাঁকে বিশ্বাস করে আপনজন করে নিলেন।

এরপর শুরু হলো নর-বানর ও রাক্ষসদের ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। প্রথম দিনেই রাবণের পক্ষে যুদ্ধ করতে এলেন তাঁর প্রিয় পুত্র মেঘনাদ। তিনি ছিলেন অসাধারণ বীর এবং তাঁর আরেক নাম ছিল ইন্দ্রজিৎ। মেঘনাদ শক্তিশালী নাগপাশ বাণ ছুড়ে রাম-লক্ষ্মণকে বেঁধে ফেললেন। শত শত বিষধর সাপ তাঁদের জড়িয়ে ধরে, আর সেই বিষের তীব্র জ্বালায় রাম-লক্ষ্মণ জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

এখন উপায় কী হবে? স্বর্গের দেবতারা রাম-লক্ষ্মণকে বাঁচাবার জন্য গরুড়কে পাঠালেন। গরুড়কে যত সাপজাতি ভয় করে। তাই গরুড় আসতেই সাপেরা ভয়ে পালিয়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যেই রাম-লক্ষ্মণের জ্ঞান ফিরে এল, আর তাঁরা আবার যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলেন।

রাক্ষস বীরদের সঙ্গে শ্রীরাম-লক্ষ্মণ এবং বানর সেনার যুদ্ধ

রাজা রাবণ পরের দিন ধূম্রাক্ষকে সেনাপতি করে রামের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পাঠালেন। বিশাল রাক্ষস বাহিনী নিয়ে ধূম্রাক্ষ যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হলেন। শুরু হল তুমুল যুদ্ধ—বাণে বাণে আকাশ ছেয়ে গেল, গদায় গদায় প্রকম্পিত হল পৃথিবী। কিন্তু সেনাপতি ধূম্রাক্ষ হনুমানের হাতে পরাজিত হয়ে নিহত হলেন, আর ভয়ে অন্য রাক্ষসরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেল।

রের দিন রাবণ নতুন সেনাপতি হিসেবে পাঠালেন বীর অকম্পনকে। যুদ্ধক্ষেত্রে শুরু হল আরও ভয়ংকর সংঘর্ষ, কিন্তু হনুমানের প্রচণ্ড শক্তির সামনে টিকতে পারলেন না অকম্পন। হনুমান রথের উপর উঠে তাঁর চুল ধরে আছড়ে মেরে ফেললেন তাঁকে। যুদ্ধক্ষেত্রে বানর বাহিনী ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে আকাশ মুখরিত করে তুলল।

এরপর একে একে রাজা রাবণ পাঠালেন আরও দুই বীর সেনাপতিকে— বজ্রদংস্ট্র ও প্রহস্ত। তারা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করলেও হনুমান ও বানর সেনার আক্রমণে একে একে নিহত হলেন।

রাম-রাবণ মহাযুদ্ধ রাবণের পরাজয়

শেষে রাবণ সিদ্ধান্ত নিলেন, এবার তিনি নিজেই যুদ্ধে যাবেন। প্রথম বার রাজা রাবণ যুদ্ধে যাবেন, রাজকীয় আয়োজনের মাধ্যমে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হলেন। শুরু হল মহাযুদ্ধ—দুই পক্ষের যোদ্ধারা নানা অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল। রাবণের অসীম শক্তির সামনে রামের সেনাবাহিনী টিকতে পারছিল না।

এরপর শুরু হল চূড়ান্ত যুদ্ধ—রাম ও রাবণের মহাযুদ্ধ। রাম তখন এক শক্তিশালী অর্ধচন্দ্র বাণ ছুঁড়লেন। বাণের আঘাতে রাবণের দশটি মাথার দশটি মুকুট ছিটকে পড়ল মাটিতে। কিন্তু দেবতার বরপ্রভাবে মুকুটগুলো মুহূর্তের মধ্যেই পুনরায় জোড়া লেগে গেল!

এইভাবেই ক্রমশ রাম-রাবণ মহাযুদ্ধ চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যেতে লাগল… অবশেষে যুদ্ধের বিরাম ঘটল।

এর পর দিন রাজা রাবণ ঠিক করলেন ভ্রাতা কুম্ভকর্ণকে যুদ্ধে পাঠাবেন।


কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গ

কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গ ও যুদ্ধযাত্রা

রাবণের মধ্যম ভ্রাতা কুম্ভকর্ণ ছিলেন এক অসাধারণ শক্তিধর যোদ্ধা। বিশাল চেহারার এই রাক্ষস একটানা ছ-মাস ধরে ঘুমাতেন, তারপর মাত্র একদিন জেগে থাকতেন। এরপর আবার ছ-মাসের নিদ্রায় ডুবে যেতেন। জাগ্রত অবস্থায় তাঁর শক্তির সঙ্গে কেউ পেরে উঠতে পারত না। তবে কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে তাঁকে যুদ্ধে পাঠানো হলে তা হয়ে উঠত ভীষণ বিপজ্জনক। তাই কেউই সহজে তাঁর ঘুম ভাঙাতে চাইত না।

কিন্তু বিপদ যখন চরমে, তখন রাবণের আর উপায় রইল না। তিনি পাঁচ মাসের গভীর নিদ্রায় থাকা কুম্ভকর্ণকে জাগানোর নির্দেশ দিলেন। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, প্রচণ্ড প্রচেষ্টার পর কুম্ভকর্ণকে ঘুম থেকে তোলা হল। খাইয়ে-দাইয়ে তাঁকে প্রস্তুত করা হল যুদ্ধের জন্য।

কুম্ভকর্ণের মৃত্যু

যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করেই কুম্ভকর্ণ তাণ্ডব শুরু করলেন। গদার আঘাতে বানর সেনাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেন। তাঁর শক্তির সামনে কেউই টিকতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত স্বয়ং শ্রীরাম তাঁর মুখোমুখি হলেন। এক প্রবল লড়াই শুরু হল।

শ্রীরাম প্রথমেই ঐষিক বাণ নিক্ষেপ করে কুম্ভকর্ণের এক হাত বিচ্ছিন্ন করলেন। তারপর ইন্দ্র-অস্ত্রবাণ ছুড়ে তাঁর একটি পা কেটে ফেললেন। কিন্তু কুম্ভকর্ণ তখনও অটল। শেষমেশ ব্রহ্ম-অস্ত্র দিয়ে শ্রীরাম তাঁর মস্তক ছেদন করলেন। মহাবীর কুম্ভকর্ণের জীবনাবসান ঘটল।

ভ্রাতার এই করুণ পরিণতি দেখে রাজা রাবণ গভীর শোকে মূর্ছা গেলেন। কুম্ভকর্ণের মৃত্যু লঙ্কার রাক্ষস সেনার মনোবল ভেঙে দিল।


ইন্দ্ৰজিৎ এর নিকুম্ভিলা যজ্ঞ

ভাই কুম্ভকর্ণের এমন ভাবে মৃত্যুর পর রাবণ কাকে যুদ্ধে পাঠাবেন ভাবতে লাগলেন। রাবণের চার ছেলে—ত্রিশিরা, দেবান্তক, নরান্তক ও অতিকায়। রাবণ একে একে তাঁদের যুদ্ধে পাঠালেন। কিন্তু সবাই বানর সেনাদের হাতে পরাস্ত হয়ে মারা পড়লেন। এবারে পাঠালেন জ্ঞাতি ভাই মহাপাশ ও মহোদরকে। তাঁদের পরিণতি একই হল।

আর কোনো উপায় না দেখে ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধে যাওয়ার জন্য মনস্থির করলেন। যুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি নিকুম্ভিলা যজ্ঞ সমাপন করলেন। এই যজ্ঞ সমাপন করে যুদ্ধে গেলে কেউ তাকে পরাজিত করতে পারবে না। রাম-লক্ষ্মণ এবং তৎসহ প্রচুর বানর সেনা ইন্দ্রজিতের সঙ্গে যুদ্ধে চেতনা হারালেন। হনুমান, বিভীষণ আর জাম্বুবান—সবাই ক্লান্ত। জাম্বুবান হনুমানকে ঋষ্যমূক পর্বতে পাঠলেন। সেই পর্বত নানা জীবনদায়ী ঔষধি গাছে পরিপূর্ণ। সেখান থেকে বিশল্যকরণী, মৃতসঞ্জীবনী, অস্থিসঞ্চারিনী এবং সুবর্ণকরণী প্রভৃতি গাছ হনুমান আনলেন। আর সেইসব ওষুধের গুণে হতচেতন সকলেই চেতনা ফিরে পেলেন। রাম ও লক্ষ্মণ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেন।

বিভীষণের একমাত্র পুত্র তরণিসেন। তাঁকে এরপর পাঠানো হল যুদ্ধে। রাম-লক্ষ্মণ ও বানর সেনাদলের সঙ্গে প্রবল যুদ্ধ করলেন তিনি। রাম তখনও জানতেন না—মিত্র বিভীষণের পুত্র তরণিসেন। বীর বিক্রমে যুদ্ধ করলেন তরণিসেন। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে তিনি পরাস্ত হলেন। তাঁর মুন্ড ছিন্ন হল। সেই কাটামুন্ড মাটিতে পড়ে ‘রাম রাম’ বলতে লাগল। শ্রীরামচন্দ্র অবাক হলেন। কে এই বীর যাঁর ছিন্ন মুন্ড রাম-গুণগান করছে? যখন জানতে পারলেন, তখন আর শোকের পরিসীমা রইল না ।

লক্ষ্মণ দ্বারা মেঘনাদ বধ

বড়ো বড়ো সব রাক্ষস বীর যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এখন বাকি আছেন রাবণ স্বয়ং আর তাঁর পুত্র ইন্দ্রজিৎ। এবার তাই ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তৈরি হলেন। যুদ্ধের আগে সমাপন করতে হবে নিকুম্ভিলা যজ্ঞ । তাতেই তিনি হবেন বিজয়ী। কিন্তু এবার তিনি যজ্ঞ সমাপন করতে পারলেন না। বিভীষণের পরামর্শ নিয়ে শ্রীরামচন্দ্র পাঠালেন লক্ষ্মণকে যজ্ঞ নষ্ট করতে। সঙ্গে গেলেন বিভীষণ, হনুমান ও কিছু বানর সেনা। যজ্ঞস্থলে ইন্দ্রজিৎ কোনো অস্ত্র নিয়ে যাননি। কেনই বা নিয়ে যাবেন? তাই তাঁর হাতে কোনো অস্ত্র নেই। লক্ষ্মণ ইন্দ্রজিতকে ব্রহ্মাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিহত করলেন। ইন্দ্রজিতের পতন হল।


রাম রাবণের যুদ্ধ

রাম রাবণের যুদ্ধ শ্রীরামচন্দ্র দ্বারা রাবণ বধ 

রাজা রাবণ পুত্রশোকে কাতর। পুত্রহত্যার প্রতিশোধ নিতে তিনি নিজেই গেলেন যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে। ‘কোথায় বিভীষণ, কোথায় লক্ষ্মণ’–পুত্রশোকে কাতর রাবণ ভয়ংকর গর্জন করে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করলেন। রাবণের হাতে শক্তিশেল অস্ত্র । ঠিক সেই মুহূর্তে লক্ষ্মণ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করলেন। রাবণ লক্ষ্মণকে লক্ষ্য করে এক শক্তিশালী শক্তিশেল অস্ত্র নিক্ষেপ করলেন, লক্ষ্মণ তৎক্ষণাৎ মাটিতে অচেতন হয়ে লুটিয়ে পড়লেন।

চারদিকে হাহাকার পড়ে গেল। শ্রীরাম লক্ষ্মণের দেহ কোলে নিয়ে কাঁদতে লাগলেন। বানর সৈন্য সুষেণ বললেন,‘কাঁদবেন না। লক্ষ্মণের দেহে এখনও প্রাণ আছে। বিশল্যকরণীর গন্ধ শোঁকালেই জীবিত হবেন।’ গন্ধমাদন পর্বতে আছে বিশল্যকরণী লতা। হনুমানকে পাঠানো হল সেই লতা আনতে। কিন্তু হনুমান তা চেনেন না। তাই গন্ধমাদন পর্বতটাই মাথায় করে নিয়ে এলেন। এরপর বিশল্যকরণীর গন্ধে প্রাণ ফিরে পেলেন লক্ষ্মণ। বানর সেনারা সবাই হর্ষে জয়ধ্বনি করে উঠল।

জয়ধ্বনি শুনে রাবণের বিশটা চোখ ক্রোধে জলে উঠল।আবার রণক্ষেত্রে ধেয়ে এলেন তিনি। মুখোমুখি হলেন শ্রীরামচন্দ্রের। শ্রীরামচন্দ্র কিছুতেই রাবণকে বধ করতে পারছেন না। বারবার রাবণের দশটা মাথা কাটা পড়লেও ব্রহ্মার বরে তা আবার জোড়া লেগে যায়। বিভীষণ রামকে জানালেন, ‘রাবণের মৃত্যুবাণ আছে তাঁর স্ত্রী মন্দোদরীর কাছে। ব্রহ্মা প্রদত্ত সেই বাণ ছাড়া রাবণকে মারা যাবে না ।

হনুমান কৌশলে সেই বাণ মন্দোদরীর কাছ থেকে এনে রামকে দিল, সেই বাণ রাবণের বক্ষস্থল লক্ষ্য করে ছুড়লেন রাম। মৃত্যুবাণে বিদ্ধ হয়ে রাবণ যাত্রা করলেন মৃত্যুলোকে।

অযোধ্যায় ফিরে এলেন রাম-সীতা-লক্ষ্মণ

 রাবণের মৃত্যুর পর বিভীষণ লঙ্কার রাজা হলেন। পুত্রক রথে চড়ে শ্রীরাম-সীতা-লক্ষ্মণ ফিরে এলেন অযোধ্যায়। শ্রীরাম-সীতা-লক্ষ্মণ চোদ্দো বছর পরে অযোধ্যায় ফিরে আসায় রাজপরিবার ও প্রজাদের মনেআনন্দের জোয়ার বয়ে গেল। মহা আড়ম্বরে শ্রীরামের রাজ্যাভিষেক হল। অযোধ্যাবাসী ফিরে পেলেন অযোধ্যার রাজাকে।

সংক্ষেপে ছোটদের রামায়ণের আরো কিছু পর্ব

*ছোটদের রামায়ণ সংক্ষিপ্ত কাহিনী আদিকাণ্ড

*ছোটদের রামায়ণ অযোধ্যা ও অরণ্য কাণ্ড

*সংক্ষেপে রাম সীতার কাহিনী কিষ্কিন্ধ্যা ও সুন্দর কাণ্ড

Share Please:

নমস্কার "আমি শ্রী কালিপদ, একজন হিন্দু সনাতনী। আমার লক্ষ্য হল আমার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সনাতন ধর্ম এবং হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আমি হিন্দু ধর্মের প্রাচীন ঐতিহ্য, ধর্মগ্রন্থ, এবং আধ্যাত্মিকতার জ্ঞান সহজ ভাষায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করি, যাতে সকলেই এই মহান ধর্মের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি যে সনাতন ধর্ম শুধু একটি ধর্ম নয়, এটি একটি জীবনধারা, যা আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করে এবং জীবনের প্রকৃত অর্থ বোঝায়।"

Leave a Comment